গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ৩৯, দুর্ভিক্ষের মুখে লাখো মানুষ
- আপডেট সময় ১১:৩২:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
- / 9
মার্কিন-ইসরায়েলি বন্দী হস্তান্তরের পর ফের গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (১৩ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত একদিনে এই হামলায় কমপক্ষে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাজার আকাশজুড়ে ড্রোন ও এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের গর্জন শোনা গেছে। নিরবচ্ছিন্ন হামলার কারণে পরিবারগুলো খাদ্য সংকটে পড়েছে। অনেকে জানিয়েছেন, তারা তাদের সন্তানদের জন্য খাবার জোগাড় করতে পারছেন না, শিশুরা দিন কাটাচ্ছে ক্ষুধার্ত অবস্থায়।
এদিকে হামাস জানিয়েছে, মার্কিন-ইসরায়েলি নাগরিক এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি একটি ‘ইতিবাচক পদক্ষেপ’ যা যুদ্ধবিরতি আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে। একইসঙ্গে তারা বলেছে, এই পদক্ষেপ মানবিক সহায়তা প্রবেশ এবং গাজার পুনর্গঠনের পথ প্রশস্ত করতে সহায়ক হবে।
জাতিসংঘ-সমর্থিত বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, গাজার মোট জনসংখ্যাই এখন দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদের মতে, অন্তত ৫ লাখ মানুষ অনাহারের চরম সংকটে ভুগছে।
উল্লেখ্য, এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি আলোচনার পর হামাস গাজা থেকে মার্কিন-ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিক এবং ইসরায়েলি সেনা সদস্য এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেয়। এই ঘটনা ঘটে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের মাত্র একদিন আগে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য কাতারে একজন মধ্যস্থতাকারী পাঠাবেন। কিন্তু আলেকজান্ডারের মুক্তির পরপরই গাজায় ফের ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণ শুরু হয়, যা এই আলোচনার বাস্তব ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলকে গাজার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।