০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে আগারগাঁওয়ে বিস্ফোরণ: দগ্ধ একই পরিবারের সাতজন ডিজিটাল গ্রিন কার্ডে মিলবে মালয়েশিয়ার নির্মাণশ্রমিকদের বেতন ঢাকায় জোবাইদা রহমান, বেগম জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা

গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলায় একদিনে শিশুসহ নিহত ২৬

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / 88

ছবি: সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ধারাবাহিক ড্রোন ও বিমান হামলায় অন্তত ২৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৮ জন শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। চিকিৎসা সূত্রের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, এই হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল মূলত বেসামরিক মানুষ ও আশ্রয়প্রার্থীদের তাবু।

মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে একদল সাধারণ মানুষের ওপর চালানো ড্রোন হামলায় ঘটনাস্থলেই দুজন প্রাণ হারান। একই শহরে পৃথক ড্রোন হামলায় আরও একজন নিহত হন। এর আগে আহত হওয়া আরেক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের একটি আশ্রয়শিবিরের তাবু লক্ষ্য করে চালানো ড্রোন হামলায় এক ব্যক্তি ও তার শিশু সন্তান নিহত হন। একই শহরের পশ্চিমাঞ্চলের আরেকটি তাবুতে ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন দুই শিশুসহ চারজন।

আল-মাওয়াসি এলাকার আসদা শহরের কাছাকাছি দুটি তাবুতে চালানো পৃথক হামলায় আরও চারজন প্রাণ হারান, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। ওই এলাকাতেই আরেকটি তাবুতে হামলায় মারা যায় আরও এক শিশু। একইসঙ্গে একটি সাইকেলের ওপর চালানো ড্রোন হামলায় এক তরুণ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।

এছাড়া সোমবার সকালে গাজা শহরের উত্তরে অবস্থিত জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের ফাতিমা বিনতে আসাদ স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য বলে জানা গেছে।

চলমান সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর এ ধরণের বেসামরিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিশু ও নিরীহ মানুষের প্রাণহানি যেন এই রক্তাক্ত সংঘাতের নির্মম বাস্তবতাকেই আরও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলায় একদিনে শিশুসহ নিহত ২৬

আপডেট সময় ১০:৪৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ধারাবাহিক ড্রোন ও বিমান হামলায় অন্তত ২৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৮ জন শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। চিকিৎসা সূত্রের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, এই হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল মূলত বেসামরিক মানুষ ও আশ্রয়প্রার্থীদের তাবু।

মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে একদল সাধারণ মানুষের ওপর চালানো ড্রোন হামলায় ঘটনাস্থলেই দুজন প্রাণ হারান। একই শহরে পৃথক ড্রোন হামলায় আরও একজন নিহত হন। এর আগে আহত হওয়া আরেক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের একটি আশ্রয়শিবিরের তাবু লক্ষ্য করে চালানো ড্রোন হামলায় এক ব্যক্তি ও তার শিশু সন্তান নিহত হন। একই শহরের পশ্চিমাঞ্চলের আরেকটি তাবুতে ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন দুই শিশুসহ চারজন।

আল-মাওয়াসি এলাকার আসদা শহরের কাছাকাছি দুটি তাবুতে চালানো পৃথক হামলায় আরও চারজন প্রাণ হারান, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। ওই এলাকাতেই আরেকটি তাবুতে হামলায় মারা যায় আরও এক শিশু। একইসঙ্গে একটি সাইকেলের ওপর চালানো ড্রোন হামলায় এক তরুণ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।

এছাড়া সোমবার সকালে গাজা শহরের উত্তরে অবস্থিত জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের ফাতিমা বিনতে আসাদ স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য বলে জানা গেছে।

চলমান সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর এ ধরণের বেসামরিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিশু ও নিরীহ মানুষের প্রাণহানি যেন এই রক্তাক্ত সংঘাতের নির্মম বাস্তবতাকেই আরও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।