ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কেমিক্যাল বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩ শ্রমিক, ভর্তি বার্ন ইনস্টিটিউটে ভারতের কোচ হওয়ার ইচ্ছা জানালেন জাভি হার্নান্দেজ ভক্তদের জন্য উপহার, আসছে মাইকেল জ্যাকসনের বায়োপিক “মিরপুরের উইকেট নিয়ে লিটনের ভিন্ন সুর” আগামী আগস্ট থেকে সিরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ করবে আজারবাইজান, তুরস্ক হবে ট্রানজিট পথ তুরস্কের ইউরোফাইটার চুক্তিতে অস্বস্তিতে ইসরায়েল: “গেমচেঞ্জার না হলেও মাথাব্যথা” ওমান সাগরে উত্তেজনা: ইরানি হেলিকপ্টারের হুঁশিয়ারিতে পথ বদলালো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ বাগেরহাটে লোকালয়ে ঢুকে পড়া বিশাল অজগর উদ্ধার গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির ঘোষণা দিলেন ম্যাক্রোঁ থানার ভেতরে ছুরিকাঘাত, গাইবান্ধার এএসআই গুরুতর আহত”

মিশরে চীনের জে-৩৫ ফাইটার জেট উপস্থাপন: পশ্চিমা নির্ভরতা কাটিয়ে বিকল্প খুঁজছে কায়রো

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৪৪:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 40

ছবি সংগৃহীত

মিশরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত এক সামরিক প্রদর্শনীতে চীনা প্রতিনিধিদল চীনের সর্বাধুনিক পঞ্চম প্রজন্মের জে-৩৫ স্টেলথ ফাইটার জেট উপস্থাপন করেছে। সফরের মাধ্যমে মিশরের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা জোরদারের পাশাপাশি চীন তাদের উন্নত প্রযুক্তির সামরিক সরঞ্জাম বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার কৌশল নিয়েছে।

প্রদর্শনীতে জে-৩৫ এর পাশাপাশি পেছনে দৃশ্যমান ছিল চতুর্থ প্রজন্মের জে-১০সি যুদ্ধবিমান, যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে মূল আকর্ষণ ছিল জে-৩৫ – চীনের সর্বাধুনিক, স্টেলথ প্রযুক্তিসম্পন্ন পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেট, যা আকাশ-আকাশ যুদ্ধ, স্থল আক্রমণ এবং দীর্ঘপাল্লার অভিযানে ব্যবহারের জন্য নির্মিত।

চীনের তৈরি এই জেটটি যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ এবং রাশিয়ার সু-৫৭ এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সক্ষম বলে দাবি করা হয়। এতে অত্যাধুনিক রাডার এভয়ডেন্স প্রযুক্তি, উচ্চ কৌশলগত গতিশীলতা এবং উন্নত অস্ত্র বহন ক্ষমতা রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মিশর এই মুহূর্তে তাদের পুরনো মার্কিন F-১৬ জেট প্রতিস্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমা সরবরাহকারীদের কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম পেতে নানা বিধিনিষেধ রাজনৈতিক চাপে পড়তে হচ্ছে কায়রোকে। ফলে চীন, রাশিয়া অন্যান্য বিকল্প উৎসের দিকে নজর দিচ্ছে তারা। এই প্রেক্ষাপটে জে-৩৫ মিশরের জন্য একটি বাস্তবসম্মত কৌশলগত বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

চীনের পক্ষ থেকে এই সফর শুধু একটি সামরিক পণ্য প্রদর্শন নয়, বরং একটি কূটনৈতিক বার্তাও—যেখানে তারা স্পষ্ট করছে যে, তারা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উচ্চ প্রযুক্তির প্রতিরক্ষা সামগ্রী সরবরাহে প্রস্তুত।

মিশরীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে চীনা জেট ক্রয়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটি হতে পারে মিশরের প্রতিরক্ষা নীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সূচনা।

এদিকে, চীনের প্রতিরক্ষা খাত বিশ্ববাজারে তাদের অবস্থান আরও দৃঢ় করতে এই ধরনের প্রদর্শন সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে, যার মধ্যে কায়রো সফর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

এই সফরের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে যে, বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা বাজারে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়ছে, তেমনি বিকল্প পথও খুঁজে নিচ্ছে অনেক দেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিশরে চীনের জে-৩৫ ফাইটার জেট উপস্থাপন: পশ্চিমা নির্ভরতা কাটিয়ে বিকল্প খুঁজছে কায়রো

আপডেট সময় ০৮:৪৪:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

মিশরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত এক সামরিক প্রদর্শনীতে চীনা প্রতিনিধিদল চীনের সর্বাধুনিক পঞ্চম প্রজন্মের জে-৩৫ স্টেলথ ফাইটার জেট উপস্থাপন করেছে। সফরের মাধ্যমে মিশরের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা জোরদারের পাশাপাশি চীন তাদের উন্নত প্রযুক্তির সামরিক সরঞ্জাম বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার কৌশল নিয়েছে।

প্রদর্শনীতে জে-৩৫ এর পাশাপাশি পেছনে দৃশ্যমান ছিল চতুর্থ প্রজন্মের জে-১০সি যুদ্ধবিমান, যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে মূল আকর্ষণ ছিল জে-৩৫ – চীনের সর্বাধুনিক, স্টেলথ প্রযুক্তিসম্পন্ন পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেট, যা আকাশ-আকাশ যুদ্ধ, স্থল আক্রমণ এবং দীর্ঘপাল্লার অভিযানে ব্যবহারের জন্য নির্মিত।

চীনের তৈরি এই জেটটি যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ এবং রাশিয়ার সু-৫৭ এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সক্ষম বলে দাবি করা হয়। এতে অত্যাধুনিক রাডার এভয়ডেন্স প্রযুক্তি, উচ্চ কৌশলগত গতিশীলতা এবং উন্নত অস্ত্র বহন ক্ষমতা রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মিশর এই মুহূর্তে তাদের পুরনো মার্কিন F-১৬ জেট প্রতিস্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমা সরবরাহকারীদের কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম পেতে নানা বিধিনিষেধ রাজনৈতিক চাপে পড়তে হচ্ছে কায়রোকে। ফলে চীন, রাশিয়া অন্যান্য বিকল্প উৎসের দিকে নজর দিচ্ছে তারা। এই প্রেক্ষাপটে জে-৩৫ মিশরের জন্য একটি বাস্তবসম্মত কৌশলগত বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

চীনের পক্ষ থেকে এই সফর শুধু একটি সামরিক পণ্য প্রদর্শন নয়, বরং একটি কূটনৈতিক বার্তাও—যেখানে তারা স্পষ্ট করছে যে, তারা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উচ্চ প্রযুক্তির প্রতিরক্ষা সামগ্রী সরবরাহে প্রস্তুত।

মিশরীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে চীনা জেট ক্রয়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটি হতে পারে মিশরের প্রতিরক্ষা নীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সূচনা।

এদিকে, চীনের প্রতিরক্ষা খাত বিশ্ববাজারে তাদের অবস্থান আরও দৃঢ় করতে এই ধরনের প্রদর্শন সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে, যার মধ্যে কায়রো সফর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

এই সফরের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে যে, বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা বাজারে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়ছে, তেমনি বিকল্প পথও খুঁজে নিচ্ছে অনেক দেশ।