১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে রবি, ফ্লোসোলার ও গ্রিনপাওয়ার এশিয়ার সমঝোতা স্মারক

- আপডেট সময় ০৬:১৪:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
- / 6
পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উৎপাদনে বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে যাচ্ছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড, ফ্লোসোলার সল্যুশনস লিমিটেড ও গ্রিনপাওয়ার এশিয়া। বুধবার, ঢাকায় রবির করপোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তিন প্রতিষ্ঠান ১০০ মেগাওয়াট পিক (এমডব্লিউপি) ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
সমঝোতা অনুযায়ী, একটি ‘স্পেশাল পারপাস ভেহিকেল’ (এসপিভি) গঠন করে এই সৌরবিদ্যুৎ প্ল্যান্ট নির্মাণ ও পরিচালনা করা হবে। প্রকল্পটি ‘বিল্ড–ওন–অপারেট’ (বিওও) মডেলে বাস্তবায়িত হবে এবং বছরে আনুমানিক ৬৮ দশমিক ২ টন কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে সহায়ক হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এই উদ্যোগের পেছনে মূল সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে সরকারের প্রস্তাবিত মার্চেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট নীতি। খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে, বেসরকারি উদ্যোক্তারা এখন দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে এবং সরাসরি গ্রাহকদের নিকট বিক্রির সুযোগ পাবে। শিগগিরই এ নীতিমালা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
রবি আজিয়াটার চিফ টেকনোলজি অফিসার পেরিহান এলহামী আহমেদ মেতাওয়েহ বলেন, “এই অংশীদারত্ব আমাদের টেকসই যাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। উদ্ভাবন, নীতিগত ও কৌশলগত সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা টেলিকম খাতে পরিবেশ ও সামাজিক দায়বদ্ধতায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছি।”
ফ্লোসোলারের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা আজিম কাসেম খান বলেন, “সরকারের উদ্ভাবনী নীতির ফলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার এখন অনেক সহজ। এই প্রকল্পটি একটি দৃষ্টান্ত হবে, যা ভবিষ্যতের মার্চেন্ট ভিত্তিক প্রকল্পগুলোর জন্য মডেল হিসেবে কাজ করবে।”
গ্রিনপাওয়ার এশিয়ার প্রেসিডেন্ট পিয়েরিক মোরিয়ে বলেন, “এই উদ্যোগ নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনাকে বাস্তবতায় রূপান্তর করার একটি বড় উদাহরণ। এটি জ্বালানি নিরাপত্তা ও পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন রবি আজিয়াটার সিটিও পেরিহান এলহামী আহমেদ মেতাওয়েহ, ফ্লোসোলারের মোস্তফা আজিম কাসেম খান এবং গ্রিনপাওয়ার এশিয়ার প্রেসিডেন্ট পিয়েরিক মোরিয়ে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় ফ্রান্সের দূতাবাসের ইকোনমিক ডিপার্টমেন্ট প্রধান জুলিয়েন দুয়ে, রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলমসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।