১২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
শিশু সাজিদের মৃত্যু: ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মানুষকে ভয় দেখাতেই এসব হামলা: রিজওয়ানা আটকের পর যা বললেন গুলিতে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক হান্নান মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান

উন্মোচন হলো ইরানের নতুন ব্যালিস্টিক মিসাইল ‘কাসেম বাসির

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩৮:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / 181

ছবি সংগৃহীত

 

ইরান সম্প্রতি ১,২০০ কিলোমিটার পাল্লার একটি নতুন ব্যালিস্টিক মিসাইল ‘কাসেম বাসির’ উন্মোচন করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এই অত্যাধুনিক মিসাইল যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত THAAD প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও অতিক্রম করতে সক্ষম।

‘True Promise’ নামের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানে ইরান যে বাস্তব যুদ্ধ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, সেই অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে এই নতুন মিসাইল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, এই মিসাইলটিকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে এটি অধিক গতিশীল, দ্রুতগামী এবং প্রতিপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যুহ এড়িয়ে যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পরিচালিত আগের অভিযানে দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিছু মিসাইল প্রতিহত করতে পেরেছিল। কিন্তু এবার ইরান কৌশল বদলে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটিয়েছে, যার ফলে ‘কাসেম বাসির’ মিসাইলের ইন্টারসেপশন রেট অত্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ইরান দাবি করেছে, তাদের প্রযুক্তি অনুযায়ী এই মিসাইল থামানোর সম্ভাবনা মাত্র ৫ শতাংশ—অর্থাৎ ৯৫ শতাংশ সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধক্ষেত্রে সংগৃহীত তথ্য ও বাস্তব অভিজ্ঞতা ইরানকে কৌশলগতভাবে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। ‘কাসেম বাসির’ শুধু একটি মিসাইল নয়, বরং এটি ইরানের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির একটি যুগান্তকারী অগ্রগতি।

ইরান মনে করছে, ভবিষ্যতের যেকোনো সংঘাতে আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম এমন মিসাইলই হয়ে উঠবে বিজয়ের চাবিকাঠি। সেই লক্ষ্যেই তাদের এই নতুন উদ্যোগ। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের ঘোষণায় মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা আরও বাড়তে পারে এবং এর প্রভাব পড়বে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতেও।

তবে আন্তর্জাতিক মহলে এই মিসাইল নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কারণ, এটি শুধু ইসরায়েল নয়, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশগুলোর নিরাপত্তা কাঠামোর জন্যও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

ইরান বারবার বলেছে, তাদের অস্ত্র উন্নয়ন আত্মরক্ষার জন্য, তবে এই ধরনের মিসাইল উদ্ভাবন ও প্রদর্শন নতুন করে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

উন্মোচন হলো ইরানের নতুন ব্যালিস্টিক মিসাইল ‘কাসেম বাসির

আপডেট সময় ১১:৩৮:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

 

ইরান সম্প্রতি ১,২০০ কিলোমিটার পাল্লার একটি নতুন ব্যালিস্টিক মিসাইল ‘কাসেম বাসির’ উন্মোচন করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এই অত্যাধুনিক মিসাইল যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত THAAD প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও অতিক্রম করতে সক্ষম।

‘True Promise’ নামের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানে ইরান যে বাস্তব যুদ্ধ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, সেই অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে এই নতুন মিসাইল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, এই মিসাইলটিকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে এটি অধিক গতিশীল, দ্রুতগামী এবং প্রতিপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যুহ এড়িয়ে যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পরিচালিত আগের অভিযানে দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিছু মিসাইল প্রতিহত করতে পেরেছিল। কিন্তু এবার ইরান কৌশল বদলে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটিয়েছে, যার ফলে ‘কাসেম বাসির’ মিসাইলের ইন্টারসেপশন রেট অত্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ইরান দাবি করেছে, তাদের প্রযুক্তি অনুযায়ী এই মিসাইল থামানোর সম্ভাবনা মাত্র ৫ শতাংশ—অর্থাৎ ৯৫ শতাংশ সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধক্ষেত্রে সংগৃহীত তথ্য ও বাস্তব অভিজ্ঞতা ইরানকে কৌশলগতভাবে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। ‘কাসেম বাসির’ শুধু একটি মিসাইল নয়, বরং এটি ইরানের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির একটি যুগান্তকারী অগ্রগতি।

ইরান মনে করছে, ভবিষ্যতের যেকোনো সংঘাতে আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম এমন মিসাইলই হয়ে উঠবে বিজয়ের চাবিকাঠি। সেই লক্ষ্যেই তাদের এই নতুন উদ্যোগ। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের ঘোষণায় মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা আরও বাড়তে পারে এবং এর প্রভাব পড়বে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতেও।

তবে আন্তর্জাতিক মহলে এই মিসাইল নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কারণ, এটি শুধু ইসরায়েল নয়, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশগুলোর নিরাপত্তা কাঠামোর জন্যও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

ইরান বারবার বলেছে, তাদের অস্ত্র উন্নয়ন আত্মরক্ষার জন্য, তবে এই ধরনের মিসাইল উদ্ভাবন ও প্রদর্শন নতুন করে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।