কানাডায় চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় লিবারেল পার্টি, প্রধানমন্ত্রীর হচ্ছেন মার্ক কার্নি

- আপডেট সময় ১১:১১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ৬ বার পড়া হয়েছে
কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে আবারও জয়ী হলো লিবারেল পার্টি। কনজারভেটিভ পার্টিকে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে তারা। ফলে দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন লিবারেল নেতা মার্ক কার্নি। স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোট গ্রহণ শেষে এই ফলাফল জানা গেছে।
নির্বাচনে লিবারেলদের জয়ের ধারাবাহিকতা অনেকটা নাটকীয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকি, বাণিজ্য যুদ্ধ এবং কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়ে মন্তব্য দেশটির রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলে। এপি জানায়, এই ঘটনার প্রেক্ষাপটেই কানাডায় ভাগ্যের মোড় ঘুরে যায়। ট্রাম্পের আগ্রাসী অবস্থান কানাডিয়ানদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে এবং শেষপর্যন্ত তা লিবারেলদের পক্ষে জনমত গঠনে সহায়ক হয়।
নিউইয়র্ক টাইমসের লাইভ আপডেট অনুযায়ী, ভোট গণনার সর্বশেষ তথ্য বলছে—লিবারেলরা পার্লামেন্টের ৩৪৩টি আসনের মধ্যে অধিকাংশতেই এগিয়ে রয়েছে। যদিও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত হয়নি এখনো, তবু তারা সরকার গঠনের দৌড়ে সবার আগে রয়েছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারলে আইন পাস করতে আর অন্য দলের সমর্থন লাগবে না।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আগেই কানাডার রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন ঘটে। টানা নয় বছর দেশ শাসনের পর চলতি বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান জাস্টিন ট্রুডো। এরপর ৯ মার্চ লিবারেল পার্টির নতুন নেতা হিসেবে দলের সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন মার্ক কার্নি। তিনি পান ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট। সাবেক ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর কার্নি, একই সঙ্গে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এপির প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, কানাডার তৈরি গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য বানানোর মন্তব্য দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ট্রাম্পের এই বক্তব্য শুধু সমালোচনার জন্ম দেয়নি, বরং সেটিই লিবারেলদের পক্ষে শক্ত ভিত তৈরি করে দেয়। অনেক ভোটার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে লিবারেলদের সমর্থন জানিয়েছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই নির্বাচনের ফলাফল শুধু কানাডার নয়, পুরো উত্তর আমেরিকার রাজনৈতিক চিত্রেই প্রভাব ফেলবে।