‘এমনি এমনি সাজিয়ে’ রাখা হয়নি ১৩০টিরও বেশি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র’: পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী

- আপডেট সময় ০৪:১৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
- / ২ বার পড়া হয়েছে
পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আব্বাসি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তানের ১৩০টিরও বেশি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘এমনি এমনি সাজিয়ে’ রাখা হয়নি, বরং এগুলো বিশেষভাবে ‘ভারতের জন্য’ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান এই খবর প্রকাশ করেছে। গত শনিবার হানিফ আব্বাসি আরও বলেন, ‘এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভারতের দিকেই তাক করে রাখা আছে।’
আব্বাসির এই বক্তব্য পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। ইতিপূর্বে ভারত ও পাকিস্তান তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে, যার মধ্যে দুটি যুদ্ধের মূল কারণ ছিল কাশ্মীর। উভয় দেশই কাশ্মীরকে নিজেদের অখণ্ড অংশ হিসেবে দাবি করে। যদিও বর্তমানে অঞ্চলটির পৃথক অংশ দুই দেশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইতিহাসে বহুবার দুই দেশ যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছিল। এই প্রেক্ষাপটেই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন হিমালয় অঞ্চলকে বিশ্বের ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
পাকিস্তানের সামরিক নীতি ‘ফুল স্পেকট্রাম ডিটারেন্স’-এ প্রচলিত হুমকিকে প্রতিরোধ করতে ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে, ভারতের ‘কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন’ দ্রুতগতির সামরিক হামলার ওপর ভিত্তি করে গঠিত। এই বিপরীতমুখী কৌশল যেকোনো সময় সীমান্ত সংঘর্ষকে ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান জানান, জনগণের চাপ, সাম্প্রতিক হামলার ভয়াবহতা এবং ভারতের প্রতিরোধ শক্তি পুনর্গঠনের আকাঙ্ক্ষা থেকে দিল্লি সীমিত সামরিক প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। তবে, তিনি মনে করেন, সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা এখনো নেই। ভারত কঠোর বার্তা দিলেও তারা সীমিত পদক্ষেপেই সন্ত্রাসীদের দুর্বল করতে চায়।
নয়াদিল্লি দাবি করেছে, পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। যদিও ভারত এখনো এ বিষয়ে সরাসরি কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি, তবে অতীতে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে।
এই ঘটনার পর ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে। পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। জবাবে পাকিস্তানও ভারতীয় কূটনীতিক বহিষ্কার, ভিসা বাতিল এবং ভারতীয় বিমান সংস্থার জন্য আকাশসীমা বন্ধ করেছে।