ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ ৯ নেতাকর্মী বিস্ফোরক মামলায় খালাস যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও ৩৬ দেশ, কঠোর অবস্থানে ট্রাম্প প্রশাসন ঈদযাত্রায় ১৫ দিনে সড়কে প্রাণ হারালেন ৩৯০ জন, আহত সহস্রাধিক লবণাক্ত জমিতে আনারস চাষে অভূতপূর্ব সাফল্য কৃষক সুলতানের ইউনূস-তারেক বৈঠকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে: আমীর খসরু করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, প্রস্তুত রয়েছে সরকার: ডা. সায়েদুর রহমান সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের সামনে ফের অবস্থান সমর্থকদের বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের বৈঠক জোরপূর্বক গুম নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আইন উপদেষ্টা

আজ শুরু হচ্ছে ইসরায়েলের মানবিক সহায়তা বন্ধের বিরুদ্ধে ৪০ দেশের শুনানি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩২:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 25

ছবি সংগৃহীত

 

 

গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের জরুরি মানবিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে ইসরায়েলের দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা নিয়ে আজ সোমবার থেকে শুনানি শুরু করতে যাচ্ছে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে)। এই শুনানিতে ৪০টি দেশ অংশ নেবে।

উল্লেখ্য, আইসিজে মূলত দুই বা ততোধিক দেশের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির দায়িত্বে নিয়োজিত। এটি ব্যক্তিগত অপরাধ বিচার করে না। ব্যক্তির যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা ও আগ্রাসনের অভিযোগে বিচার হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি), যা ব্যক্তিদের অপরাধমূলকভাবে দায়ী করার উদ্দেশ্যে গঠিত।

গত বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আইসিজেকে আহ্বান জানায়, যাতে ইসরায়েলের আইনগত বাধ্যবাধকতা বিবেচনা করা হয়। কারণ, ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের প্রধান সাহায্য সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে দেয়। এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

সম্প্রতি, এক মাস আগে ইসরায়েল গাজা উপত্যকার ২০ লাখেরও বেশি মানুষের জন্য সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করে দেয়। ইসরায়েল দাবি করে, হামাস এই সাহায্য নিজেদের জন্য ব্যবহার করছে। তাই তারা সাহায্য বন্ধ করার অধিকার রাখে।

হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতকে এই বিষয়ে একটি পরামর্শমূলক মতামত দিতে বলা হয়েছে। যদিও এই মতামত বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি আইনগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এ মতামত দিতে আদালতের কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত আইসিজে জাতিসংঘের একটি প্রধান অঙ্গ, যা সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আইনি বিরোধ নিষ্পত্তি করে থাকে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদসহ বিভিন্ন সংস্থা আদালতের ১৫ জন বিচারকের কাছ থেকে এমন পরামর্শ চাইতে পারে।

এই শুনানি গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান ১৮ মাসের দীর্ঘ যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। মানবিক সহায়তার বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। আদালতের সিদ্ধান্ত না হলেও, এই শুনানির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলের মনোভাব স্পষ্ট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আজ শুরু হচ্ছে ইসরায়েলের মানবিক সহায়তা বন্ধের বিরুদ্ধে ৪০ দেশের শুনানি

আপডেট সময় ১২:৩২:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

 

 

গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের জরুরি মানবিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে ইসরায়েলের দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা নিয়ে আজ সোমবার থেকে শুনানি শুরু করতে যাচ্ছে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে)। এই শুনানিতে ৪০টি দেশ অংশ নেবে।

উল্লেখ্য, আইসিজে মূলত দুই বা ততোধিক দেশের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির দায়িত্বে নিয়োজিত। এটি ব্যক্তিগত অপরাধ বিচার করে না। ব্যক্তির যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা ও আগ্রাসনের অভিযোগে বিচার হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি), যা ব্যক্তিদের অপরাধমূলকভাবে দায়ী করার উদ্দেশ্যে গঠিত।

গত বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আইসিজেকে আহ্বান জানায়, যাতে ইসরায়েলের আইনগত বাধ্যবাধকতা বিবেচনা করা হয়। কারণ, ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের প্রধান সাহায্য সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে দেয়। এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

সম্প্রতি, এক মাস আগে ইসরায়েল গাজা উপত্যকার ২০ লাখেরও বেশি মানুষের জন্য সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করে দেয়। ইসরায়েল দাবি করে, হামাস এই সাহায্য নিজেদের জন্য ব্যবহার করছে। তাই তারা সাহায্য বন্ধ করার অধিকার রাখে।

হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতকে এই বিষয়ে একটি পরামর্শমূলক মতামত দিতে বলা হয়েছে। যদিও এই মতামত বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি আইনগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এ মতামত দিতে আদালতের কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত আইসিজে জাতিসংঘের একটি প্রধান অঙ্গ, যা সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আইনি বিরোধ নিষ্পত্তি করে থাকে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদসহ বিভিন্ন সংস্থা আদালতের ১৫ জন বিচারকের কাছ থেকে এমন পরামর্শ চাইতে পারে।

এই শুনানি গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান ১৮ মাসের দীর্ঘ যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। মানবিক সহায়তার বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। আদালতের সিদ্ধান্ত না হলেও, এই শুনানির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলের মনোভাব স্পষ্ট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।