ঢাকা ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) রাজনৈতিক কর্মসূচি বা বক্তব্যের আগে দলকে হিসেব-নিকেশ করতে হবে: এ্যানি পুলিশের ১১০ কর্মকর্তাকে এসআই থেকে ইন্সপেক্টর পদে উত্তরণ পাকিস্তানে টানা বৃষ্টিতে ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জনের মৃত্যু, দুর্ভোগে লাখো মানুষ গোয়েন্দা তথ্য ছিল, কিন্তু এমন ব্যাপকতা ধারণা করা যায়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা” কিশোরগঞ্জে ব্যবসায়ী সৈয়দুর হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন রাশিয়া-ইউক্রেন পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলার তীব্রতা, দুই পক্ষেই হতাহত ভোটার তালিকা সংযোজনসহ তিনটি অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন অবৈধ ৬২ কোটি টাকার সম্পদের প্রমাণ মিলেছে তারিক সিদ্দিকের: দুদক চকরিয়ায় চুরি করতে গিয়ে পুলিশের স্ত্রীকে ধর্ষণ, আটক ১

পাকিস্তানের হাসান খেল সীমান্তে ৫৪ সন্ত্রাসী নিহত, ভারতের সংশ্লিষ্টতা সন্দেহ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 64

ছবি সংগৃহীত

 

 

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার উত্তর ওয়াজিরিস্তানের হাসান খেল এলাকায় আফগান সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে অন্তত ৫৪ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। ইসলামাবাদ সন্দেহ করছে, এ অনুপ্রবেশের পেছনে ভারতের ইন্ধন থাকতে পারে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২৫ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত একটানা তিনদিন হাসান খেল সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশের চেষ্টা করে একদল সন্ত্রাসী। তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে এনে নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং সংঘর্ষে ওই সন্ত্রাসীদের হত্যা করা হয়।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী অত্যন্ত দক্ষতা ও নির্ভুলতার সঙ্গে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ ব্যর্থ করে দেয়। ‘খারিজ সন্ত্রাসী’ বলে উল্লেখিত ৫৪ জনকে হত্যা করা হয়। এখানে ‘খারিজ সন্ত্রাসী’ বলতে নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর সদস্যদের বোঝানো হয়েছে।

নিহতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এ সন্ত্রাসীরা ‘বিদেশি কর্তাদের’ নির্দেশে পাকিস্তানে বড় ধরনের হামলার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করছিল।

আইএসপিআর জানায়, ভারত যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে, ঠিক সেই সময় এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রমাণ করে কারা এদের পেছনে রয়েছে। এটি পাকিস্তান রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা।

এছাড়া, জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে আইএসপিআর জানায়, ভারতের কৌশলগত উদ্দেশ্য হলো পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেওয়া, যাতে সন্ত্রাসীরা সুবিধা নিতে পারে।

আইএসপিআর আরও উল্লেখ করে, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের ইতিহাসে একক সংঘর্ষে এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যক সন্ত্রাসী হত্যার ঘটনা।

উল্লেখ্য, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। বহুদিন ধরেই এ সীমান্ত দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানের হাসান খেল সীমান্তে ৫৪ সন্ত্রাসী নিহত, ভারতের সংশ্লিষ্টতা সন্দেহ

আপডেট সময় ১২:২০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

 

 

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার উত্তর ওয়াজিরিস্তানের হাসান খেল এলাকায় আফগান সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে অন্তত ৫৪ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। ইসলামাবাদ সন্দেহ করছে, এ অনুপ্রবেশের পেছনে ভারতের ইন্ধন থাকতে পারে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২৫ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত একটানা তিনদিন হাসান খেল সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশের চেষ্টা করে একদল সন্ত্রাসী। তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে এনে নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং সংঘর্ষে ওই সন্ত্রাসীদের হত্যা করা হয়।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী অত্যন্ত দক্ষতা ও নির্ভুলতার সঙ্গে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ ব্যর্থ করে দেয়। ‘খারিজ সন্ত্রাসী’ বলে উল্লেখিত ৫৪ জনকে হত্যা করা হয়। এখানে ‘খারিজ সন্ত্রাসী’ বলতে নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর সদস্যদের বোঝানো হয়েছে।

নিহতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এ সন্ত্রাসীরা ‘বিদেশি কর্তাদের’ নির্দেশে পাকিস্তানে বড় ধরনের হামলার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করছিল।

আইএসপিআর জানায়, ভারত যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে, ঠিক সেই সময় এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রমাণ করে কারা এদের পেছনে রয়েছে। এটি পাকিস্তান রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা।

এছাড়া, জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে আইএসপিআর জানায়, ভারতের কৌশলগত উদ্দেশ্য হলো পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেওয়া, যাতে সন্ত্রাসীরা সুবিধা নিতে পারে।

আইএসপিআর আরও উল্লেখ করে, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের ইতিহাসে একক সংঘর্ষে এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যক সন্ত্রাসী হত্যার ঘটনা।

উল্লেখ্য, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। বহুদিন ধরেই এ সীমান্ত দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।