ঢাকা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শুল্কযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষপাতী দেশগুলোকে চীনের কঠোর হুঁশিয়ারি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৩৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • / 12

ছবি সংগৃহীত

 

চলমান শুল্কবিরোধকে কেন্দ্র করে বেইজিং আবারও কড়া বার্তা দিয়েছে যেসব দেশ নিজেদের স্বল্পমেয়াদি স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের ক্ষতির শর্তে বাণিজ্যচুক্তি করছে, তাদের বিরুদ্ধে চীন পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না।

সোমবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, অন্যের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে নিজেদের সুবিধা নেওয়ার প্রবণতা অনৈতিক ও ক্ষতিকর। চীন এর তীব্র বিরোধিতা করে এবং স্পষ্ট করে দিয়েছে চীনের স্বার্থের বিনিময়ে করা কোনো চুক্তি তারা কখনোই গ্রহণ করবে না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করলেও, চীনা পণ্যের ওপর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত। এর জবাবে বেইজিংও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন পণ্যের ওপর।

এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং ভারতসহ বেশ কিছু দেশ ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় বসছে শুল্ক হ্রাসের লক্ষ্যে। দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী শিগগিরই উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে। একইসঙ্গে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাং ও গাড়ি নির্মাতা হুন্দাই প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিক্রিয়ার জন্য।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা সম্প্রতি বলেন, জাপান-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যআলোচনা বিশ্ববাসীর জন্য একটি উদাহরণ হতে পারে। তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জাপানের সঙ্গে আলোচনাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং এর মধ্য দিয়েই দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

এদিকে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স চার দিনের সফরে ভারতে পৌঁছেছেন। তাঁর এই সফরের মূল লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের মধ্যে একটি বাণিজ্যচুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করা।

তবে এসব উদ্যোগে চীন উদ্বিগ্ন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, “তুষ্টি দিয়ে শান্তি আসে না, আর আপসকে কেউ সম্মান করে না। এভাবে কেউ শেষ পর্যন্ত লাভবান হতে পারে না।”

ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যকার পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বাজারে অনিশ্চয়তা এবং বিশ্বমন্দার শঙ্কাও বাড়ছে।

ট্রাম্প অবশ্য আশাবাদী। তিনি বলেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে, আমি বিশ্বাস করি আমরা চমৎকার একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারব।” তবে চীনও তাদের অবস্থানে অনড় তারা আলোচনার পথ খোলা রেখেছে, তবে কোনো আপস নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

শুল্কযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষপাতী দেশগুলোকে চীনের কঠোর হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় ০৬:৩৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

 

চলমান শুল্কবিরোধকে কেন্দ্র করে বেইজিং আবারও কড়া বার্তা দিয়েছে যেসব দেশ নিজেদের স্বল্পমেয়াদি স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের ক্ষতির শর্তে বাণিজ্যচুক্তি করছে, তাদের বিরুদ্ধে চীন পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না।

সোমবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, অন্যের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে নিজেদের সুবিধা নেওয়ার প্রবণতা অনৈতিক ও ক্ষতিকর। চীন এর তীব্র বিরোধিতা করে এবং স্পষ্ট করে দিয়েছে চীনের স্বার্থের বিনিময়ে করা কোনো চুক্তি তারা কখনোই গ্রহণ করবে না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করলেও, চীনা পণ্যের ওপর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত। এর জবাবে বেইজিংও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন পণ্যের ওপর।

এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং ভারতসহ বেশ কিছু দেশ ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় বসছে শুল্ক হ্রাসের লক্ষ্যে। দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী শিগগিরই উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে। একইসঙ্গে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাং ও গাড়ি নির্মাতা হুন্দাই প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিক্রিয়ার জন্য।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা সম্প্রতি বলেন, জাপান-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যআলোচনা বিশ্ববাসীর জন্য একটি উদাহরণ হতে পারে। তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জাপানের সঙ্গে আলোচনাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং এর মধ্য দিয়েই দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

এদিকে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স চার দিনের সফরে ভারতে পৌঁছেছেন। তাঁর এই সফরের মূল লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের মধ্যে একটি বাণিজ্যচুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করা।

তবে এসব উদ্যোগে চীন উদ্বিগ্ন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, “তুষ্টি দিয়ে শান্তি আসে না, আর আপসকে কেউ সম্মান করে না। এভাবে কেউ শেষ পর্যন্ত লাভবান হতে পারে না।”

ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যকার পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বাজারে অনিশ্চয়তা এবং বিশ্বমন্দার শঙ্কাও বাড়ছে।

ট্রাম্প অবশ্য আশাবাদী। তিনি বলেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে, আমি বিশ্বাস করি আমরা চমৎকার একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারব।” তবে চীনও তাদের অবস্থানে অনড় তারা আলোচনার পথ খোলা রেখেছে, তবে কোনো আপস নয়।