ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২১ আগস্ট মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শুরু শ্রীমঙ্গলে করলা চাষে বিপ্লব, বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবন গণতন্ত্রের পথে ঐকমত্য প্রয়োজন, মতপার্থক্য নয়: আলী রীয়াজ মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের হামলার নিন্দা সারজিস আলমের, ‘ধিক্কার জানাই এমন আচরণে’ সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাল্যবিবাহ বিরোধী পোস্টের জেরে প্রাণ গেল তরুণের: গ্রেফতার ৬ জন বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে ১ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত আরো ৪ কোটচাঁদপুরে ট্রেনে অভিযান, ৩ কোটির হেরোইন উদ্ধার

ইয়েমেন হামলার গোপন তথ্য ফাঁসে বিতর্কে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • / 16

ছবি সংগৃহীত

 

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফের সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। ইয়েমেনে সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের গোপন পরিকল্পনা ব্যক্তিগত চ্যাট গ্রুপে ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ১৫ মার্চ ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে চালানো এক গোপন হামলার তথ্য তিনি নাকি আগেভাগেই ভাগ করে নিয়েছিলেন পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে।

নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, হেগসেথ তার স্ত্রী, ভাই এবং ব্যক্তিগত আইনজীবীসহ কয়েকজন ঘনিষ্ঠের সঙ্গে ‘সিগন্যাল’ অ্যাপে একটি ব্যক্তিগত গ্রুপ খুলে সেখানেই আলোচনা করেন গোপন সামরিক পরিকল্পনা নিয়ে। গ্রুপটির নাম ছিল ‘ডিফেন্স টিম হাড্‌ল’, যেখানে ছিলেন প্রায় ১২ জন সদস্য।

এই চ্যাটে হেগসেথ বিশদভাবে আলোচনা করেন কবে, কখন, কোন বিমান ইয়েমেনের কোন ঘাঁটিতে হামলা চালাবে। যা ছিল মার্কিন প্রশাসনের অতি গোপনীয় তথ্য। অথচ এসব আলোচনা হয় তার ব্যক্তিগত ফোনে, সরকারি কোনো সুরক্ষিত ডিভাইস ব্যবহার না করেই।

হেগসেথের স্ত্রী, ফক্স নিউজের এক সাবেক প্রযোজক, যিনি একাধিক সামরিক বৈঠকে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন, তাকেও এই গোপন আলোচনায় যুক্ত করা হয়।

এর আগেও একবার একই ধরনের বিতর্কে জড়িয়েছিলেন হেগসেথ। তখন তিনি হোয়াইট হাউসের একটি গ্রুপ চ্যাটে ভুলবশত এক সাংবাদিককে যুক্ত করেন, যার ফলে ইয়েমেন অভিযান সংক্রান্ত তথ্য আগেভাগেই গণমাধ্যমে চলে আসে। যদিও সে সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে হেগসেথের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছিলেন।

কিন্তু এবার দ্বিতীয়বার একই ধরনের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি নিয়ে। বারবার এমন ঘটনায় ক্ষুণ্ন হচ্ছে সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ছে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

ঘটনাটি সামনে আসলেও এখন পর্যন্ত পেন্টাগন কিংবা হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে মার্কিন প্রশাসনের অভ্যন্তরে বিষয়টি নিয়ে প্রবল চাপানউতোর চলেছে বলেই জানা গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে এমন গাফিলতি মার্কিন প্রশাসনের নীতিগত অবস্থান ও গোয়েন্দা তথ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও জটিলতার মুখে ফেলছে।

সার্বিকভাবে, হেগসেথের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একদিকে যেমন প্রশাসনের গোপনীয়তা রক্ষার প্রশ্ন তুলেছে, অন্যদিকে তেমনই মার্কিন নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়েও নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইয়েমেন হামলার গোপন তথ্য ফাঁসে বিতর্কে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

আপডেট সময় ১২:৫১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

 

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফের সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। ইয়েমেনে সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের গোপন পরিকল্পনা ব্যক্তিগত চ্যাট গ্রুপে ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ১৫ মার্চ ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে চালানো এক গোপন হামলার তথ্য তিনি নাকি আগেভাগেই ভাগ করে নিয়েছিলেন পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে।

নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, হেগসেথ তার স্ত্রী, ভাই এবং ব্যক্তিগত আইনজীবীসহ কয়েকজন ঘনিষ্ঠের সঙ্গে ‘সিগন্যাল’ অ্যাপে একটি ব্যক্তিগত গ্রুপ খুলে সেখানেই আলোচনা করেন গোপন সামরিক পরিকল্পনা নিয়ে। গ্রুপটির নাম ছিল ‘ডিফেন্স টিম হাড্‌ল’, যেখানে ছিলেন প্রায় ১২ জন সদস্য।

এই চ্যাটে হেগসেথ বিশদভাবে আলোচনা করেন কবে, কখন, কোন বিমান ইয়েমেনের কোন ঘাঁটিতে হামলা চালাবে। যা ছিল মার্কিন প্রশাসনের অতি গোপনীয় তথ্য। অথচ এসব আলোচনা হয় তার ব্যক্তিগত ফোনে, সরকারি কোনো সুরক্ষিত ডিভাইস ব্যবহার না করেই।

হেগসেথের স্ত্রী, ফক্স নিউজের এক সাবেক প্রযোজক, যিনি একাধিক সামরিক বৈঠকে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন, তাকেও এই গোপন আলোচনায় যুক্ত করা হয়।

এর আগেও একবার একই ধরনের বিতর্কে জড়িয়েছিলেন হেগসেথ। তখন তিনি হোয়াইট হাউসের একটি গ্রুপ চ্যাটে ভুলবশত এক সাংবাদিককে যুক্ত করেন, যার ফলে ইয়েমেন অভিযান সংক্রান্ত তথ্য আগেভাগেই গণমাধ্যমে চলে আসে। যদিও সে সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে হেগসেথের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছিলেন।

কিন্তু এবার দ্বিতীয়বার একই ধরনের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি নিয়ে। বারবার এমন ঘটনায় ক্ষুণ্ন হচ্ছে সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ছে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

ঘটনাটি সামনে আসলেও এখন পর্যন্ত পেন্টাগন কিংবা হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে মার্কিন প্রশাসনের অভ্যন্তরে বিষয়টি নিয়ে প্রবল চাপানউতোর চলেছে বলেই জানা গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে এমন গাফিলতি মার্কিন প্রশাসনের নীতিগত অবস্থান ও গোয়েন্দা তথ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও জটিলতার মুখে ফেলছে।

সার্বিকভাবে, হেগসেথের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একদিকে যেমন প্রশাসনের গোপনীয়তা রক্ষার প্রশ্ন তুলেছে, অন্যদিকে তেমনই মার্কিন নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়েও নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।