ইসরায়েলের বেন গুরিয়নের বিমানবন্দরের কাছে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

- আপডেট সময় ১২:১৫:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
- / 27
ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিয়নের কাছাকাছি একটি সামরিক স্থাপনায় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গোষ্ঠীটির সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এই হামলার দাবি নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই হামলা চালানো হয়। সারি জানান, জুলফিকার নামক একটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। যদিও সরাসরি বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে লক্ষ্য বানানো হয়নি, তবে নিকটবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি ছিল মূল টার্গেট।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, হামলার আগে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রতিহত করা হয়েছে এবং বিমানবন্দরের কার্যক্রমে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি।
একইসাথে হুথি গোষ্ঠী দাবি করেছে, তারা লোহিত সাগর ও আরব সাগরে টহলরত একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ও একটি এমকিউ-৯ ড্রোনের ওপরও হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, ড্রোনটি সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে।
এই ধারাবাহিক হামলার পেছনে কারণ হিসেবে হুথিরা যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক একটি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে উল্লেখ করেছে। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের রাস ইসা তেল টার্মিনালে বিমান হামলা চালিয়ে ৭৪ জন হুথি সদস্যকে হত্যা করে বলে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনার একদিন পরেই হুথিদের পাল্টা আঘাত এসেছে।
হুথি মুখপাত্র সারি এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের ভূখণ্ডে যদি হামলা চলতেই থাকে, তবে এর প্রতিক্রিয়াও হবে আরও তীব্র, আরও বিস্তৃত।”
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হুথিদের এই আক্রমণ মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান সংঘাতের মধ্যে এ ধরনের হামলা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে।
এদিকে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এখনো এই হামলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।