০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

গাজায় ফের রক্তগঙ্গা, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ জন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 42

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় ফের রক্তাক্ত হলো ফিলিস্তিন। শুক্রবার ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চালানো এসব হামলায় অন্তত ৬৪ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নিহতদের অধিকাংশই গাজা শহর ও উত্তর গাজার বাসিন্দা। বেসামরিক জনগণ, বিশেষ করে নারী ও শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ইসরায়েলি বাহিনী একযোগে গাজার উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলেও ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো উপত্যকা। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও আটকে আছেন বহু মানুষ। উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালালেও টানা বোমাবর্ষণের কারণে কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসন ইতোমধ্যে গাজাকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। সর্বশেষ এই হামলার পর মোট প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ হাজার। আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার মানুষ। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা প্রায় ৫৬ শতাংশ।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই অব্যাহত হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করছে। তাদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েল বারবার বেসামরিক স্থাপনা ও জনগণের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

গাজা এখন এক অনিশ্চয়তা আর ভয়াবহতার নাম। প্রতিদিন ভাঙছে ঘরবাড়ি, হারাচ্ছে পরিবার, নিভে যাচ্ছে হাজারো স্বপ্ন। যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কার্যকর ভূমিকার দাবি জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও মানবাধিকার কর্মীরা।

তবে ইসরায়েলি সরকার এই অভিযানের পক্ষে বলছে, তারা ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। যদিও বাস্তবে সবচেয়ে বড় বলি হচ্ছে গাজার সাধারণ মানুষ।

চোখের সামনে সন্তান হারানো এক মায়ের কান্না যেন গোটা মানবতাকে প্রশ্ন করে এই হত্যাযজ্ঞ আর কতকাল চলবে?

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ফের রক্তগঙ্গা, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ জন

আপডেট সময় ১০:০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় ফের রক্তাক্ত হলো ফিলিস্তিন। শুক্রবার ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চালানো এসব হামলায় অন্তত ৬৪ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নিহতদের অধিকাংশই গাজা শহর ও উত্তর গাজার বাসিন্দা। বেসামরিক জনগণ, বিশেষ করে নারী ও শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ইসরায়েলি বাহিনী একযোগে গাজার উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলেও ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো উপত্যকা। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও আটকে আছেন বহু মানুষ। উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালালেও টানা বোমাবর্ষণের কারণে কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসন ইতোমধ্যে গাজাকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। সর্বশেষ এই হামলার পর মোট প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ হাজার। আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার মানুষ। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা প্রায় ৫৬ শতাংশ।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই অব্যাহত হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করছে। তাদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েল বারবার বেসামরিক স্থাপনা ও জনগণের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

গাজা এখন এক অনিশ্চয়তা আর ভয়াবহতার নাম। প্রতিদিন ভাঙছে ঘরবাড়ি, হারাচ্ছে পরিবার, নিভে যাচ্ছে হাজারো স্বপ্ন। যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কার্যকর ভূমিকার দাবি জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও মানবাধিকার কর্মীরা।

তবে ইসরায়েলি সরকার এই অভিযানের পক্ষে বলছে, তারা ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। যদিও বাস্তবে সবচেয়ে বড় বলি হচ্ছে গাজার সাধারণ মানুষ।

চোখের সামনে সন্তান হারানো এক মায়ের কান্না যেন গোটা মানবতাকে প্রশ্ন করে এই হত্যাযজ্ঞ আর কতকাল চলবে?