ঢাকা ০৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরিয়ার স্বৈরশাসকের মূল্যবান সম্পদ পাচারে গোপন বিমান মিশন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 24

ছবি সংগৃহীত

 

আসাদের শাসনের শেষ সময়ে, তিনি একটি বিশেষ বিমানের মাধ্যমে নগদ অর্থ, মূল্যবান সম্পদ এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি গোপনে সিরিয়া থেকে সরিয়ে নেন।

C5-SKY নামের বিমানটি রাশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমন্বয়ে চারটি গোপন ফ্লাইট পরিচালনা করে সিরিয়া থেকে আবুধাবি পর্যন্ত।

আসাদ নিজে ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর রাশিয়ায় পালিয়ে যান। তার আগেই আবুধাবিগামী বিমানটি বহন করে:

– অন্তত ৫০০,০০০ ডলার নগদ অর্থ (চিহ্নহীন ব্যাগে)

-ল্যাপটপ, হার্ডড্রাইভ এবং “দ্য গ্রুপ” নামের তার কর্পোরেট সাম্রাজ্যের নথি, যা টেলিকম, ব্যাংকিং, রিয়েল এস্টেট ও অফশোর অ্যাকাউন্টে বিস্তৃত

– শিল্পকর্ম ও ভাস্কর্য

– ঘনিষ্ঠ শাসনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও পরিবার

রাশিয়া ও আমিরাতের ভূমিকা:

কিছু ফ্লাইটের আগে দামেস্ক বিমানবন্দরে আমিরাত দূতাবাসের গাড়ি দেখা যায়।

আসাদ পালান রাশিয়ার হেমেইমিম ঘাঁটি থেকে।

বিমানটি ফ্লাইট ট্র্যাকার থেকে ৬ ঘণ্টা উধাও থাকার পর আবুধাবিতে ফিরে আসে।

জড়িত ব্যক্তিরা:

আহমেদ খালিল খালিল, যিনি হেমেইমিম ঘাঁটি থেকে শেষ ফ্লাইটে উঠেছিলেন। তার সঙ্গে ছিল সিরিয়ান ইসলামিক ব্যাংক থেকে তোলা ৫০০,০০০ ডলার।

বিমানটি লিজ নেওয়া হয়েছিল লেবানিজ ব্যবসায়ী মোহামাদ ওয়েহবে-এর কাছ থেকে, যদিও তিনি সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন।

নতুন সিরিয়ান সরকার পাচার হওয়া এই সম্পদ খুঁজে পেতে এবং ফিরিয়ে আনতে অভিযান শুরু করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিরিয়ার স্বৈরশাসকের মূল্যবান সম্পদ পাচারে গোপন বিমান মিশন

আপডেট সময় ০৪:২০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

 

আসাদের শাসনের শেষ সময়ে, তিনি একটি বিশেষ বিমানের মাধ্যমে নগদ অর্থ, মূল্যবান সম্পদ এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি গোপনে সিরিয়া থেকে সরিয়ে নেন।

C5-SKY নামের বিমানটি রাশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমন্বয়ে চারটি গোপন ফ্লাইট পরিচালনা করে সিরিয়া থেকে আবুধাবি পর্যন্ত।

আসাদ নিজে ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর রাশিয়ায় পালিয়ে যান। তার আগেই আবুধাবিগামী বিমানটি বহন করে:

– অন্তত ৫০০,০০০ ডলার নগদ অর্থ (চিহ্নহীন ব্যাগে)

-ল্যাপটপ, হার্ডড্রাইভ এবং “দ্য গ্রুপ” নামের তার কর্পোরেট সাম্রাজ্যের নথি, যা টেলিকম, ব্যাংকিং, রিয়েল এস্টেট ও অফশোর অ্যাকাউন্টে বিস্তৃত

– শিল্পকর্ম ও ভাস্কর্য

– ঘনিষ্ঠ শাসনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও পরিবার

রাশিয়া ও আমিরাতের ভূমিকা:

কিছু ফ্লাইটের আগে দামেস্ক বিমানবন্দরে আমিরাত দূতাবাসের গাড়ি দেখা যায়।

আসাদ পালান রাশিয়ার হেমেইমিম ঘাঁটি থেকে।

বিমানটি ফ্লাইট ট্র্যাকার থেকে ৬ ঘণ্টা উধাও থাকার পর আবুধাবিতে ফিরে আসে।

জড়িত ব্যক্তিরা:

আহমেদ খালিল খালিল, যিনি হেমেইমিম ঘাঁটি থেকে শেষ ফ্লাইটে উঠেছিলেন। তার সঙ্গে ছিল সিরিয়ান ইসলামিক ব্যাংক থেকে তোলা ৫০০,০০০ ডলার।

বিমানটি লিজ নেওয়া হয়েছিল লেবানিজ ব্যবসায়ী মোহামাদ ওয়েহবে-এর কাছ থেকে, যদিও তিনি সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন।

নতুন সিরিয়ান সরকার পাচার হওয়া এই সম্পদ খুঁজে পেতে এবং ফিরিয়ে আনতে অভিযান শুরু করেছে।