ঢাকা ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নতুন নির্দেশনা প্রকাশ গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের নেমপ্লেট ও আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক আন্দোলন করলেই অবসরে যাবেন সরকারী চাকুরীজীবীরা ডিএনএ টেস্টে সনাক্ত হলো ৫ জনের পরিচয় সাজেক থেকে ফিরছেন পর্যটকরা, যান চলাচল স্বাভাবিক সেনবাগে খালের উপর জবরদখল করে ব্রীজ ও  নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পুশইন না পুশব্যাক ? বিব্রত বাংলা ভাষাভাষী মানুষেরা রাশিয়ায় নিখোঁজ উড়োজাহাজ ৪৯ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত মিডিয়াতে প্রকাশের পর পোষাক নির্দেশনা প্রত্যাহার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান তার স্ত্রী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা তহবিল বন্ধের প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 22

ছবি সংগৃহীত

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অর্থ সহায়তা পুরোপুরি বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানা গেছে। হোয়াইট হাউস বাজেট অফিসের একটি গোপন নথিতে এই তথ্য উঠে এসেছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে মালি, লেবানন ও কঙ্গোর মতো দেশগুলোর শান্তিরক্ষা মিশনে বারবার ব্যর্থতা উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্বে জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় অর্থদাতা হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র। তারা জাতিসংঘের মোট মূল বাজেটের প্রায় ২২ শতাংশ এবং শান্তিরক্ষা বাজেটের প্রায় ২৭ শতাংশ এককভাবে বহন করে থাকে। যার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন ও ৫.৬ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থ প্রদান বাধ্যতামূলক হলেও ট্রাম্প প্রশাসনের এই প্রস্তাব জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কর্মকাণ্ডের ভবিষ্যতকে বড় ধরনের সংকটে ফেলতে পারে।

বিশ্বের সংঘাতপীড়িত অঞ্চলগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিসংঘের এই তহবিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘের নীল হেলমেট বাহিনী নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু বড় অর্থদাতাদের এমন আচমকা সিদ্ধান্ত শুধু আর্থিক নয়, কূটনৈতিক ভাবেও জাতিসংঘের মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত শুধু ট্রাম্প প্রশাসনের একক দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং এটি যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক নেতৃত্ব থেকে সরে আসার ইঙ্গিতও বহন করছে। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে শান্তির স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জাতিসংঘ যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, তার দায় পুরো আন্তর্জাতিক সমাজকেই বহন করতে হবে।

যদিও এখনো এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়নি, তবে এমন এক সময় এই পরিকল্পনা সামনে এলো যখন বিশ্ব জুড়ে যুদ্ধ, অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ ও শরণার্থী সংকট তীব্রতর হচ্ছে। এ অবস্থায় শান্তিরক্ষা বাজেট বন্ধের উদ্যোগ শুধু জাতিসংঘ নয়, বরং সমগ্র বিশ্ব ব্যবস্থাকে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

নিজস্ব স্বার্থে গড়ে তোলা বৈশ্বিক নেতৃত্বের কাঠামো থেকে পিছিয়ে আসার এই প্রবণতা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যেমন আত্মঘাতী, তেমনি আন্তর্জাতিক শান্তি প্রচেষ্টার জন্যও একটি বড় ধাক্কা। বিশ্ব যেন নিজের সাজানো অবকাঠামো নিজেই ভেঙে ফেলছে এটাই এখন সবচেয়ে বড় উদ্বেগ।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা তহবিল বন্ধের প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের

আপডেট সময় ১১:৩৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অর্থ সহায়তা পুরোপুরি বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানা গেছে। হোয়াইট হাউস বাজেট অফিসের একটি গোপন নথিতে এই তথ্য উঠে এসেছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে মালি, লেবানন ও কঙ্গোর মতো দেশগুলোর শান্তিরক্ষা মিশনে বারবার ব্যর্থতা উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্বে জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় অর্থদাতা হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র। তারা জাতিসংঘের মোট মূল বাজেটের প্রায় ২২ শতাংশ এবং শান্তিরক্ষা বাজেটের প্রায় ২৭ শতাংশ এককভাবে বহন করে থাকে। যার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন ও ৫.৬ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থ প্রদান বাধ্যতামূলক হলেও ট্রাম্প প্রশাসনের এই প্রস্তাব জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কর্মকাণ্ডের ভবিষ্যতকে বড় ধরনের সংকটে ফেলতে পারে।

বিশ্বের সংঘাতপীড়িত অঞ্চলগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিসংঘের এই তহবিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘের নীল হেলমেট বাহিনী নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু বড় অর্থদাতাদের এমন আচমকা সিদ্ধান্ত শুধু আর্থিক নয়, কূটনৈতিক ভাবেও জাতিসংঘের মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত শুধু ট্রাম্প প্রশাসনের একক দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং এটি যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক নেতৃত্ব থেকে সরে আসার ইঙ্গিতও বহন করছে। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে শান্তির স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জাতিসংঘ যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, তার দায় পুরো আন্তর্জাতিক সমাজকেই বহন করতে হবে।

যদিও এখনো এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়নি, তবে এমন এক সময় এই পরিকল্পনা সামনে এলো যখন বিশ্ব জুড়ে যুদ্ধ, অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ ও শরণার্থী সংকট তীব্রতর হচ্ছে। এ অবস্থায় শান্তিরক্ষা বাজেট বন্ধের উদ্যোগ শুধু জাতিসংঘ নয়, বরং সমগ্র বিশ্ব ব্যবস্থাকে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

নিজস্ব স্বার্থে গড়ে তোলা বৈশ্বিক নেতৃত্বের কাঠামো থেকে পিছিয়ে আসার এই প্রবণতা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যেমন আত্মঘাতী, তেমনি আন্তর্জাতিক শান্তি প্রচেষ্টার জন্যও একটি বড় ধাক্কা। বিশ্ব যেন নিজের সাজানো অবকাঠামো নিজেই ভেঙে ফেলছে এটাই এখন সবচেয়ে বড় উদ্বেগ।