ঢাকা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা তহবিল বন্ধের প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 15

ছবি সংগৃহীত

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অর্থ সহায়তা পুরোপুরি বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানা গেছে। হোয়াইট হাউস বাজেট অফিসের একটি গোপন নথিতে এই তথ্য উঠে এসেছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে মালি, লেবানন ও কঙ্গোর মতো দেশগুলোর শান্তিরক্ষা মিশনে বারবার ব্যর্থতা উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্বে জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় অর্থদাতা হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র। তারা জাতিসংঘের মোট মূল বাজেটের প্রায় ২২ শতাংশ এবং শান্তিরক্ষা বাজেটের প্রায় ২৭ শতাংশ এককভাবে বহন করে থাকে। যার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন ও ৫.৬ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থ প্রদান বাধ্যতামূলক হলেও ট্রাম্প প্রশাসনের এই প্রস্তাব জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কর্মকাণ্ডের ভবিষ্যতকে বড় ধরনের সংকটে ফেলতে পারে।

বিশ্বের সংঘাতপীড়িত অঞ্চলগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিসংঘের এই তহবিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘের নীল হেলমেট বাহিনী নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু বড় অর্থদাতাদের এমন আচমকা সিদ্ধান্ত শুধু আর্থিক নয়, কূটনৈতিক ভাবেও জাতিসংঘের মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত শুধু ট্রাম্প প্রশাসনের একক দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং এটি যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক নেতৃত্ব থেকে সরে আসার ইঙ্গিতও বহন করছে। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে শান্তির স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জাতিসংঘ যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, তার দায় পুরো আন্তর্জাতিক সমাজকেই বহন করতে হবে।

যদিও এখনো এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়নি, তবে এমন এক সময় এই পরিকল্পনা সামনে এলো যখন বিশ্ব জুড়ে যুদ্ধ, অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ ও শরণার্থী সংকট তীব্রতর হচ্ছে। এ অবস্থায় শান্তিরক্ষা বাজেট বন্ধের উদ্যোগ শুধু জাতিসংঘ নয়, বরং সমগ্র বিশ্ব ব্যবস্থাকে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

নিজস্ব স্বার্থে গড়ে তোলা বৈশ্বিক নেতৃত্বের কাঠামো থেকে পিছিয়ে আসার এই প্রবণতা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যেমন আত্মঘাতী, তেমনি আন্তর্জাতিক শান্তি প্রচেষ্টার জন্যও একটি বড় ধাক্কা। বিশ্ব যেন নিজের সাজানো অবকাঠামো নিজেই ভেঙে ফেলছে এটাই এখন সবচেয়ে বড় উদ্বেগ।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা তহবিল বন্ধের প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের

আপডেট সময় ১১:৩৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অর্থ সহায়তা পুরোপুরি বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানা গেছে। হোয়াইট হাউস বাজেট অফিসের একটি গোপন নথিতে এই তথ্য উঠে এসেছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে মালি, লেবানন ও কঙ্গোর মতো দেশগুলোর শান্তিরক্ষা মিশনে বারবার ব্যর্থতা উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্বে জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় অর্থদাতা হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র। তারা জাতিসংঘের মোট মূল বাজেটের প্রায় ২২ শতাংশ এবং শান্তিরক্ষা বাজেটের প্রায় ২৭ শতাংশ এককভাবে বহন করে থাকে। যার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন ও ৫.৬ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থ প্রদান বাধ্যতামূলক হলেও ট্রাম্প প্রশাসনের এই প্রস্তাব জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কর্মকাণ্ডের ভবিষ্যতকে বড় ধরনের সংকটে ফেলতে পারে।

বিশ্বের সংঘাতপীড়িত অঞ্চলগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিসংঘের এই তহবিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘের নীল হেলমেট বাহিনী নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু বড় অর্থদাতাদের এমন আচমকা সিদ্ধান্ত শুধু আর্থিক নয়, কূটনৈতিক ভাবেও জাতিসংঘের মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত শুধু ট্রাম্প প্রশাসনের একক দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং এটি যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক নেতৃত্ব থেকে সরে আসার ইঙ্গিতও বহন করছে। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে শান্তির স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জাতিসংঘ যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, তার দায় পুরো আন্তর্জাতিক সমাজকেই বহন করতে হবে।

যদিও এখনো এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়নি, তবে এমন এক সময় এই পরিকল্পনা সামনে এলো যখন বিশ্ব জুড়ে যুদ্ধ, অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ ও শরণার্থী সংকট তীব্রতর হচ্ছে। এ অবস্থায় শান্তিরক্ষা বাজেট বন্ধের উদ্যোগ শুধু জাতিসংঘ নয়, বরং সমগ্র বিশ্ব ব্যবস্থাকে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

নিজস্ব স্বার্থে গড়ে তোলা বৈশ্বিক নেতৃত্বের কাঠামো থেকে পিছিয়ে আসার এই প্রবণতা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যেমন আত্মঘাতী, তেমনি আন্তর্জাতিক শান্তি প্রচেষ্টার জন্যও একটি বড় ধাক্কা। বিশ্ব যেন নিজের সাজানো অবকাঠামো নিজেই ভেঙে ফেলছে এটাই এখন সবচেয়ে বড় উদ্বেগ।