গা/জা এখন ফিলিস্তিনিদের জন্য এক ‘জীবন্ত গণকবর’: দাতব্য সংস্থা

- আপডেট সময় ০৪:৩২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫০৮ বার পড়া হয়েছে
গাজা উপত্যকা ধীরে ধীরে এক মৃত্যুপুরীতে রূপ নিচ্ছে। যুদ্ধের বিভীষিকায় জর্জরিত ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি যারা তাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন, তারাও রেহাই পাচ্ছেন না। চিকিৎসা সহায়তাদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘মেডিসিনস স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স’ (এমএসএফ) বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজা এখন এক ‘গণকবর’-এ পরিণত হয়েছে।
ইসরাইলি বাহিনীর টানা বোমাবর্ষণে বুধবার গাজা উপত্যকায় নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩ জন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে জানা যায়, কেবলমাত্র একটি বিমান হামলাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গাজার খ্যাতনামা লেখিকা ও আলোকচিত্রী ফাতেমা হাসৌনা। যুদ্ধের আগুনে পোড়া ফিলিস্তিনিদের কষ্ট, সংগ্রাম এবং মানবিক বাস্তবতা দীর্ঘদিন ধরে তিনি তুলে ধরতেন বিশ্বমাধ্যমে।
এছাড়াও, গাজার উত্তরের একটি আবাসিক এলাকায় বিমান হামলায় আরও তিনজন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে অব্যাহত রয়েছে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। সেখানকার স্থানীয়দের দাবি, গত কয়েকদিন ধরে ইসরাইলি বাহিনী ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ধ্বংস করে শহরটির বড় একটি অংশ দখলে নিয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবেই তারা এই অভিযান চালাচ্ছে। পাশাপাশি, গাজায় জিম্মি থাকা ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তির জন্য হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগ করতেই তারা এ পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাজনৈতিক নেতারা। তবে, এই বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গাজায় এমএসএফ-এর জরুরি সমন্বয়কারী আমান্ডে বাজেরোল জানান, “আমরা গাজার সম্পূর্ণ ধ্বংস দেখছি, ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার চিত্র সামনে আসছে। এটি শুধু একটি মানবিক সংকট নয়, বরং এটি একটি নৃশংস বিপর্যয়।”
গত ১৮ মার্চ থেকে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ ভেঙে নতুন করে হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। সেই থেকে একের পর এক বিস্ফোরণ, ধ্বংস আর মৃত্যু গাজার নিয়ত হয়ে উঠেছে।
সূত্র: রয়টার্স