ঢাকা ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘চুক্তি চাইলে ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি বাতিল করতেই হবে’: যুক্তরাষ্ট্র 

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৯:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

ওয়াশিংটনের সঙ্গে যদি নতুন কোনো পরমাণু চুক্তি করতে চায়, তবে তেহরানকে অবশ্যই তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণসহ সম্পূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি বাতিল করতে হবে এমন কঠোর বার্তা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। আগামী শনিবার ওমানের মাস্কাটে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় দফা বৈঠকের আগেই এমন অবস্থান জানাল যুক্তরাষ্ট্র।

বুধবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান উইটকফের আগের দিনের বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। কারণ, মঙ্গলবার তিনি বলেছিলেন, ইরান যদি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সামান্য পরিমাণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে, তাহলে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি নেই।

কিন্তু পরদিনই উইটকফ জানান, “মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার জন্য একটি টেকসই কাঠামোর প্রয়োজন, যার অর্থ ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ ও অস্ত্রায়ন কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের এমন একটি কঠিন ও স্থায়ী চুক্তি দরকার, যা যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের স্বার্থ রক্ষা করতে সক্ষম হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে এ ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।”

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও একই অবস্থান জানিয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বাতিল চায় এবং এই বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

এর আগে গত শনিবার ওমানের রাজধানী মাস্কাটে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে প্রথম দফার আলোচনা হয়। তেহরানের পক্ষ থেকে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ছিলেন স্টিভ উইটকফ। প্রথম দফার বৈঠক ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গঠনমূলক পরিবেশে’ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরান।

তবে দ্বিতীয় দফা বৈঠকের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই কঠোর বার্তা আলোচনার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তির মধ্যে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসে যুক্তরাষ্ট্রকে সেই চুক্তি থেকে সরিয়ে নেন। সম্প্রতি ট্রাম্প ফের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরান যদি নতুন চুক্তিতে না আসে, তবে সামরিক হামলা এবং কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘চুক্তি চাইলে ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি বাতিল করতেই হবে’: যুক্তরাষ্ট্র 

আপডেট সময় ১১:২৯:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

 

ওয়াশিংটনের সঙ্গে যদি নতুন কোনো পরমাণু চুক্তি করতে চায়, তবে তেহরানকে অবশ্যই তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণসহ সম্পূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি বাতিল করতে হবে এমন কঠোর বার্তা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। আগামী শনিবার ওমানের মাস্কাটে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় দফা বৈঠকের আগেই এমন অবস্থান জানাল যুক্তরাষ্ট্র।

বুধবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান উইটকফের আগের দিনের বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। কারণ, মঙ্গলবার তিনি বলেছিলেন, ইরান যদি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সামান্য পরিমাণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে, তাহলে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি নেই।

কিন্তু পরদিনই উইটকফ জানান, “মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার জন্য একটি টেকসই কাঠামোর প্রয়োজন, যার অর্থ ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ ও অস্ত্রায়ন কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের এমন একটি কঠিন ও স্থায়ী চুক্তি দরকার, যা যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের স্বার্থ রক্ষা করতে সক্ষম হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে এ ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।”

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও একই অবস্থান জানিয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বাতিল চায় এবং এই বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

এর আগে গত শনিবার ওমানের রাজধানী মাস্কাটে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে প্রথম দফার আলোচনা হয়। তেহরানের পক্ষ থেকে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ছিলেন স্টিভ উইটকফ। প্রথম দফার বৈঠক ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গঠনমূলক পরিবেশে’ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরান।

তবে দ্বিতীয় দফা বৈঠকের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই কঠোর বার্তা আলোচনার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তির মধ্যে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসে যুক্তরাষ্ট্রকে সেই চুক্তি থেকে সরিয়ে নেন। সম্প্রতি ট্রাম্প ফের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরান যদি নতুন চুক্তিতে না আসে, তবে সামরিক হামলা এবং কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।