ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গা/জা/য় অনির্দিষ্টকাল সেনা রাখার ঘোষণা ই*স*রা*য়ে*লের মানুষের ঢলে মুখরিত ৪০০ বছরের প্রাচীন কুলিকুন্ডার শুঁটকি মেলা দাবি আদায়ে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পোড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : হুঁশিয়ারি পরিবেশ উপদেষ্টার ই*স*রা*য়ে*লের ভয়াবহ হামলা গা/জা/য় আরো ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত দেশীয় মাছের সুরক্ষা ও উৎপাদন বাড়াতে জোর দিলেন মৎস্য উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে: প্রসিকিউটর আগামী রমজানের আগে নির্বাচন চায় জামায়াত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তহবিল বন্ধের প্রস্তাব দিল ট্রাম্প প্রশাসন 

নির্দেশ মানেনি হার্ভার্ড, ট্রাম্পের পাল্টা পদক্ষেপে বন্ধ অনুদান

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

মার্কিন প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২.২ বিলিয়ন ডলারের সরকারি অনুদান স্থগিত করেছে হোয়াইট হাউস। একইসাথে বাতিল করা হয়েছে আরও ৬০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি। বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে ‘নির্বাচনী বৈষম্য’ ও ‘ইহুদি-বিদ্বেষ’ সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে এই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

শুক্রবার হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষকে পাঠানো একটি সরকারি চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক সংস্কার কার্যকর করার আহ্বান জানানো হয়। প্রস্তাবিত সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে মেধার ভিত্তিতে ছাত্র ভর্তি ও শিক্ষক নিয়োগ, ছাত্র-শিক্ষক ও প্রশাসনের মধ্যে বৈচিত্র্য সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গির পর্যালোচনা এবং ক্যাম্পাসে মুখোশ পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা।

ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হার্ভার্ডসহ দেশটির বেশ কয়েকটি সম্মানজনক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্তমানে একটি ‘অধিকারপ্রবণ ও বিভাজনমূলক মানসিকতা’র কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইহুদি-বিদ্বেষের ঝুঁকি বাড়ছে এবং কর্তৃপক্ষ তা যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্দেশ্যে ১০টি সুস্পষ্ট দাবি জানিয়েছে, যার মূল লক্ষ্য হলো ইহুদি-বিদ্বেষ রোধ, আদর্শিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা এবং শিক্ষা পরিবেশে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা।

এই সিদ্ধান্তের পেছনে আরেকটি বড় কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া আন্দোলন ও বিক্ষোভ। শিক্ষার্থীদের একাংশের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বহু জায়গায় পুলিশি হস্তক্ষেপ ও ইসরায়েলপন্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল আচরণ এবং শিক্ষাঙ্গনে নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে হোয়াইট হাউস এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি কেবল অর্থনৈতিক চাপ নয়, বরং আদর্শগত এবং নীতিগত একটি যুদ্ধ, যেখানে ট্রাম্প প্রশাসন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘রক্ষণশীল মূল্যবোধ’ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তবে একাংশ মনে করছে, এটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।

এখন দেখার বিষয়, হার্ভার্ড এই চাপের মুখে কী ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:৫৭:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
৫১৭ বার পড়া হয়েছে

নির্দেশ মানেনি হার্ভার্ড, ট্রাম্পের পাল্টা পদক্ষেপে বন্ধ অনুদান

আপডেট সময় ১০:৫৭:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

 

মার্কিন প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২.২ বিলিয়ন ডলারের সরকারি অনুদান স্থগিত করেছে হোয়াইট হাউস। একইসাথে বাতিল করা হয়েছে আরও ৬০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি। বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে ‘নির্বাচনী বৈষম্য’ ও ‘ইহুদি-বিদ্বেষ’ সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে এই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

শুক্রবার হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষকে পাঠানো একটি সরকারি চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক সংস্কার কার্যকর করার আহ্বান জানানো হয়। প্রস্তাবিত সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে মেধার ভিত্তিতে ছাত্র ভর্তি ও শিক্ষক নিয়োগ, ছাত্র-শিক্ষক ও প্রশাসনের মধ্যে বৈচিত্র্য সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গির পর্যালোচনা এবং ক্যাম্পাসে মুখোশ পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা।

ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হার্ভার্ডসহ দেশটির বেশ কয়েকটি সম্মানজনক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্তমানে একটি ‘অধিকারপ্রবণ ও বিভাজনমূলক মানসিকতা’র কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইহুদি-বিদ্বেষের ঝুঁকি বাড়ছে এবং কর্তৃপক্ষ তা যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্দেশ্যে ১০টি সুস্পষ্ট দাবি জানিয়েছে, যার মূল লক্ষ্য হলো ইহুদি-বিদ্বেষ রোধ, আদর্শিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা এবং শিক্ষা পরিবেশে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা।

এই সিদ্ধান্তের পেছনে আরেকটি বড় কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া আন্দোলন ও বিক্ষোভ। শিক্ষার্থীদের একাংশের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বহু জায়গায় পুলিশি হস্তক্ষেপ ও ইসরায়েলপন্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল আচরণ এবং শিক্ষাঙ্গনে নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে হোয়াইট হাউস এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি কেবল অর্থনৈতিক চাপ নয়, বরং আদর্শগত এবং নীতিগত একটি যুদ্ধ, যেখানে ট্রাম্প প্রশাসন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘রক্ষণশীল মূল্যবোধ’ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তবে একাংশ মনে করছে, এটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।

এখন দেখার বিষয়, হার্ভার্ড এই চাপের মুখে কী ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়।