ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গা/জা/য় অনির্দিষ্টকাল সেনা রাখার ঘোষণা ই*স*রা*য়ে*লের মানুষের ঢলে মুখরিত ৪০০ বছরের প্রাচীন কুলিকুন্ডার শুঁটকি মেলা দাবি আদায়ে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পোড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : হুঁশিয়ারি পরিবেশ উপদেষ্টার ই*স*রা*য়ে*লের ভয়াবহ হামলা গা/জা/য় আরো ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত দেশীয় মাছের সুরক্ষা ও উৎপাদন বাড়াতে জোর দিলেন মৎস্য উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে: প্রসিকিউটর আগামী রমজানের আগে নির্বাচন চায় জামায়াত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তহবিল বন্ধের প্রস্তাব দিল ট্রাম্প প্রশাসন 

গাজা হত্যাযজ্ঞে ক্ষুব্ধ ইতালিয়ানরা, রোমে ১৮ এপ্রিল মহাসমাবেশের ডাক

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

 

গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন ও নারী-শিশুসহ বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ইতালিজুড়ে চলছে ব্যাপক বিক্ষোভ। পালেরমো এবং মিলানের পর এবার রাজধানী রোমেও বিশাল প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

মিলানে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন হাতে তারা গাজায় চলমান ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। বিক্ষোভকারীরা গাজায় নারী ও শিশুর উপর হওয়া হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বন্দরনগরী পালেরমোতেও এর আগেই বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়। সেখানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবি এবং ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান।

রাজধানী রোমের মার্কনী এলাকাতেও স্থানীয়ভাবে ছোট আকারে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এই আয়োজনে বিভিন্ন দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশাপাশি ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও উল্লেখযোগ্যভাবে অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের সক্রিয় উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

এদিকে, আসছে ১৮ এপ্রিল রোমের প্রাণকেন্দ্র ‘পিয়াচ্ছা ভিত্তোরিও’ এলাকায় বড় ধরনের সমাবেশের আয়োজন করেছে ‘প্যালেস্টাইন মুক্তি মুভমেন্ট’ নামের একটি সংগঠন। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ঘিরে মুসলিম কমিউনিটির পক্ষ থেকে বিশাল প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিক্ষোভের আগে খোলা মাঠে জুমার নামাজ আদায় করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতি জানানো।

প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা সহিংসতা ও মৃত্যু মিছিলের বিরুদ্ধে ইতালির বিভিন্ন শহরে যে সহানুভূতির ঢেউ তৈরি হয়েছে, তা আরও বিস্তৃত হতে যাচ্ছে এই ঘোষিত কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে।

আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতেই এমন প্রতিবাদে নেমেছে ইতালির সচেতন নাগরিক সমাজ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৪১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
৫০৫ বার পড়া হয়েছে

গাজা হত্যাযজ্ঞে ক্ষুব্ধ ইতালিয়ানরা, রোমে ১৮ এপ্রিল মহাসমাবেশের ডাক

আপডেট সময় ০৮:৪১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

 

 

গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন ও নারী-শিশুসহ বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ইতালিজুড়ে চলছে ব্যাপক বিক্ষোভ। পালেরমো এবং মিলানের পর এবার রাজধানী রোমেও বিশাল প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

মিলানে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন হাতে তারা গাজায় চলমান ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। বিক্ষোভকারীরা গাজায় নারী ও শিশুর উপর হওয়া হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বন্দরনগরী পালেরমোতেও এর আগেই বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়। সেখানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবি এবং ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান।

রাজধানী রোমের মার্কনী এলাকাতেও স্থানীয়ভাবে ছোট আকারে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এই আয়োজনে বিভিন্ন দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশাপাশি ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও উল্লেখযোগ্যভাবে অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের সক্রিয় উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

এদিকে, আসছে ১৮ এপ্রিল রোমের প্রাণকেন্দ্র ‘পিয়াচ্ছা ভিত্তোরিও’ এলাকায় বড় ধরনের সমাবেশের আয়োজন করেছে ‘প্যালেস্টাইন মুক্তি মুভমেন্ট’ নামের একটি সংগঠন। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ঘিরে মুসলিম কমিউনিটির পক্ষ থেকে বিশাল প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিক্ষোভের আগে খোলা মাঠে জুমার নামাজ আদায় করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতি জানানো।

প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা সহিংসতা ও মৃত্যু মিছিলের বিরুদ্ধে ইতালির বিভিন্ন শহরে যে সহানুভূতির ঢেউ তৈরি হয়েছে, তা আরও বিস্তৃত হতে যাচ্ছে এই ঘোষিত কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে।

আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতেই এমন প্রতিবাদে নেমেছে ইতালির সচেতন নাগরিক সমাজ।