১১:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ইসরায়েলি হামলায় গাজার শেষ হাসপাতাল ধ্বংস, নিহত ৩৭ জন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৩৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 42

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ রবিবারের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৭ জন ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে এক পরিবারের ছয় ভাই রয়েছেন, যারা ক্ষুধার্ত মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণের জন্য স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছিলেন।

এছাড়া গাজা সিটির আল-আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার পর সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় গুরুতর আহত এক শিশুর মৃত্যু হয়। হাসপাতালটি ছিল গাজার শেষ সম্পূর্ণ সচল চিকিৎসা কেন্দ্র, যা এখন পুরোপুরি কার্যকারিতা হারিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হাসপাতালের আইসিইউ ও অস্ত্রোপচার ইউনিট সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভবনটির দ্বিতীয় তলা থেকে আগুন ও ধোঁয়া বেরিয়ে আসছে, আশপাশে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা হামলা চালিয়েছে কারণ ওই হাসপাতাল ভবনটি হামাসের কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়, সেখানে হামাসের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও নির্দেশনা পরিচালিত হচ্ছিল।

তবে হামলার সময় আশেপাশে বেসামরিক মানুষ এবং চিকিৎসাধীন রোগীদের উপস্থিতি বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। হামলার ফলে পাশের একটি গির্জাও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে নেতারা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বহু রাষ্ট্রনেতা সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করে বলছেন, যুদ্ধের মাঝেও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, শিশু ও নিরপরাধ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিকতার দাবি।

গাজার মানবিক পরিস্থিতি প্রতিদিনই অবনতির দিকে যাচ্ছে। খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও ওষুধের চরম সংকটে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য প্রতিটি হামলা বেঁচে থাকার লড়াইকে আরও কঠিন করে তুলছে।

বিশ্ববাসীর দৃষ্টি এখন গাজা উপত্যকার দিকে, যেখানে প্রতিদিন মানবিক বিপর্যয়ের নতুন অধ্যায় রচিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলি হামলায় গাজার শেষ হাসপাতাল ধ্বংস, নিহত ৩৭ জন

আপডেট সময় ০৫:৩৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ রবিবারের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৭ জন ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে এক পরিবারের ছয় ভাই রয়েছেন, যারা ক্ষুধার্ত মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণের জন্য স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছিলেন।

এছাড়া গাজা সিটির আল-আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার পর সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় গুরুতর আহত এক শিশুর মৃত্যু হয়। হাসপাতালটি ছিল গাজার শেষ সম্পূর্ণ সচল চিকিৎসা কেন্দ্র, যা এখন পুরোপুরি কার্যকারিতা হারিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হাসপাতালের আইসিইউ ও অস্ত্রোপচার ইউনিট সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভবনটির দ্বিতীয় তলা থেকে আগুন ও ধোঁয়া বেরিয়ে আসছে, আশপাশে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা হামলা চালিয়েছে কারণ ওই হাসপাতাল ভবনটি হামাসের কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়, সেখানে হামাসের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও নির্দেশনা পরিচালিত হচ্ছিল।

তবে হামলার সময় আশেপাশে বেসামরিক মানুষ এবং চিকিৎসাধীন রোগীদের উপস্থিতি বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। হামলার ফলে পাশের একটি গির্জাও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে নেতারা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বহু রাষ্ট্রনেতা সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করে বলছেন, যুদ্ধের মাঝেও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, শিশু ও নিরপরাধ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিকতার দাবি।

গাজার মানবিক পরিস্থিতি প্রতিদিনই অবনতির দিকে যাচ্ছে। খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও ওষুধের চরম সংকটে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য প্রতিটি হামলা বেঁচে থাকার লড়াইকে আরও কঠিন করে তুলছে।

বিশ্ববাসীর দৃষ্টি এখন গাজা উপত্যকার দিকে, যেখানে প্রতিদিন মানবিক বিপর্যয়ের নতুন অধ্যায় রচিত হচ্ছে।