১১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

রাশিয়ার পক্ষে চীনা নাগরিকেরা যুদ্ধ করছে, অভিযোগ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 54

ছবি সংগৃহীত

 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন চীনের একাধিক নাগরিক রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। বুধবার তিনি জানান, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে দুইজন চীনা যোদ্ধাকে আটক করেছে, যারা রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করছিল।

জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের হাতে এমন তথ্য ও প্রমাণ রয়েছে, যা থেকে জানা যাচ্ছে রাশিয়ার দলে আরও বহু চীনা নাগরিক সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন। এমনকি আটক হওয়া ব্যক্তিদের জবানবন্দি ও দালিলিক প্রমাণ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, চীনের সরকার এ বিষয়ে অবগত এবং সম্ভবত তাদের সম্মতি নিয়েই এসব নাগরিক রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, ইউক্রেনের কাছে ১৫৫ জন চীনা নাগরিকের নাম, পাসপোর্ট নম্বর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে, যারা রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করছে। এসব যোদ্ধাদের সংগ্রহে আনতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষ প্রচার চালানো হচ্ছে, যেখানে চীনা নাগরিকদের রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগে থেকেই জানিয়েছিল, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং নিজেদের নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়েছে অন্য কোনো দেশের সেনাবাহিনীতে যোগ না দিতে। তবে জেলেনস্কির সাম্প্রতিক অভিযোগের পর বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।

বিশ্লেষকদের মতে, বিষয়টি শুধু ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের পরিসর নয়, বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতির ওপরও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। যদি চীনা নাগরিকদের অংশগ্রহণ বেইজিংয়ের অনুমোদনেই হয়ে থাকে, তাহলে এ ঘটনাকে যুদ্ধের চক্র বিস্তারের ইঙ্গিত হিসেবেই দেখা যেতে পারে।

চীন-রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে চীনের অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে যে কূটনৈতিক চাপ তৈরি হয়েছিল, তা নতুন করে বাড়তে পারে এই অভিযোগের পর। ইউক্রেন এখন চায়, বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত হোক এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিকে ঘোলাটে না করে চীন যেন আরও স্পষ্ট অবস্থান নেয়।

এদিকে রাশিয়ার তরফ থেকেও এ অভিযোগ নিয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ইউক্রেন অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, বিদেশি যোদ্ধা নিয়োগ বন্ধ না হলে তারা বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলবে।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

রাশিয়ার পক্ষে চীনা নাগরিকেরা যুদ্ধ করছে, অভিযোগ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের

আপডেট সময় ১২:৪১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন চীনের একাধিক নাগরিক রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। বুধবার তিনি জানান, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে দুইজন চীনা যোদ্ধাকে আটক করেছে, যারা রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করছিল।

জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের হাতে এমন তথ্য ও প্রমাণ রয়েছে, যা থেকে জানা যাচ্ছে রাশিয়ার দলে আরও বহু চীনা নাগরিক সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন। এমনকি আটক হওয়া ব্যক্তিদের জবানবন্দি ও দালিলিক প্রমাণ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, চীনের সরকার এ বিষয়ে অবগত এবং সম্ভবত তাদের সম্মতি নিয়েই এসব নাগরিক রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, ইউক্রেনের কাছে ১৫৫ জন চীনা নাগরিকের নাম, পাসপোর্ট নম্বর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে, যারা রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করছে। এসব যোদ্ধাদের সংগ্রহে আনতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষ প্রচার চালানো হচ্ছে, যেখানে চীনা নাগরিকদের রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগে থেকেই জানিয়েছিল, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং নিজেদের নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়েছে অন্য কোনো দেশের সেনাবাহিনীতে যোগ না দিতে। তবে জেলেনস্কির সাম্প্রতিক অভিযোগের পর বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।

বিশ্লেষকদের মতে, বিষয়টি শুধু ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের পরিসর নয়, বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতির ওপরও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। যদি চীনা নাগরিকদের অংশগ্রহণ বেইজিংয়ের অনুমোদনেই হয়ে থাকে, তাহলে এ ঘটনাকে যুদ্ধের চক্র বিস্তারের ইঙ্গিত হিসেবেই দেখা যেতে পারে।

চীন-রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে চীনের অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে যে কূটনৈতিক চাপ তৈরি হয়েছিল, তা নতুন করে বাড়তে পারে এই অভিযোগের পর। ইউক্রেন এখন চায়, বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত হোক এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিকে ঘোলাটে না করে চীন যেন আরও স্পষ্ট অবস্থান নেয়।

এদিকে রাশিয়ার তরফ থেকেও এ অভিযোগ নিয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ইউক্রেন অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, বিদেশি যোদ্ধা নিয়োগ বন্ধ না হলে তারা বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলবে।