শুল্ক কমানোর ব্যাপারে আগ্রহী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা খুব শিগগিরই : ট্রাম্প

- আপডেট সময় ১১:০১:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
- / 48
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির ক্ষেত্রে যে নতুন শুল্ক আরোপ করা হয়েছে তা নিয়ে আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে শুল্ক কমানোর অনুরোধ জানিয়ে অনেক দেশ ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এর প্রেক্ষিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এসব দেশের সঙ্গে শিগগির সমঝোতা আলোচনা শুরু করা হবে।
বিশ্ববাণিজ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত শুল্কনীতি। সম্প্রতি একাধিক দেশের পণ্যের ওপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি, যার প্রভাব পড়ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবাজারে। বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের রপ্তানিপণ্য এখন যুক্তরাষ্ট্রে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে।
নিজ মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ এক পোস্টে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত বিদেশি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক কার্যকর হবে, আর কেউ এই শুল্কের বিরোধিতা করলে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে আরও কঠোর পদক্ষেপ। একইসঙ্গে চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, চীন যদি তার পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আরোপিত ৩৪ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তবে আগামী ৯ এপ্রিল থেকে চীনের পণ্যের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
এই ঘোষণার ফলে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যনির্ভর অনেক দেশ। বাংলাদেশ, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ পোশাক রপ্তানিকারক, তার পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। এমন শুল্ক দীর্ঘদিনের বাণিজ্য সম্পর্কে বড় ধরনের আঘাত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
শুধু বাংলাদেশ নয় ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ, পাকিস্তানের ২৯, চীনের ৩৪, শ্রীলঙ্কার ৪৪, থাইল্যান্ডের ৩৬, ভিয়েতনামের ৪৬, মিয়ানমারের ৪৪ এবং মাদাগাস্কারের পণ্যের ওপর ৪৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, তুরস্কসহ আরও অনেক দেশের ওপরও শুল্ক আরোপ করা হয়েছে বিভিন্ন হারে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, সব ধরনের বিদেশি গাড়ি আমদানির ওপর একযোগে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা বিশ্ব গাড়ি শিল্পেও প্রভাব ফেলতে পারে।
ট্রাম্প এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিবস’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিনের বাণিজ্য বৈষম্য দূর করতে এটাই উপযুক্ত সময়। আজ থেকে আমেরিকান শিল্পের পুনর্জাগরণ শুরু হলো।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। অনেক দেশ ইতোমধ্যেই সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছে। তবে আপাতত ট্রাম্পের অবস্থান কঠোরই থেকে যাচ্ছে।
বিশ্ব এখন অপেক্ষায় এই শুল্ক যুদ্ধ কোথায় গিয়ে থামে, আর এতে কোন কোন দেশ কতটা ক্ষতির মুখে পড়ে।