ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

গাজায় সাংবাদিকদের তাঁবুতে ইসরাইলের বর্বর হামলায় নিহত সাংবাদিক, হামাসের পাল্টা রকেট হামলা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫১:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 44

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের নিষ্ঠুরতা থামছে না। সর্বশেষ রোববার ভোরে মধ্য গাজায় চালানো এক বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন একজন সাংবাদিকসহ কয়েকজন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের নিকটস্থ সাংবাদিকদের আবাসস্থলে ইসরাইলি বাহিনী আচমকা বিমান হামলা চালায়। এতে প্রাণ হারান ফিলিস্তিনি সাংবাদিক হিলমি আল-ফাকাওয়ি। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সাংবাদিক আহমেদ মনসুরকে। এ ছাড়াও আল জাজিরার ফটোগ্রাফার মাহমুদ আওয়াদ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক জানায়, দেইর আল-বালাহ এলাকা খালি করার নির্দেশ দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে গাজার আল-আকসা হাসপাতালের কাছেও ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলা চালায়। ওই এলাকায় যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষদের জন্য তৈরি অস্থায়ী তাঁবুতে হামলা চালানো হয়, যাতে বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিকতার চরম লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে।

একই দিনে রাতে গাজা থেকে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে কমপক্ষে ১০টি রকেট ছুড়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে অন্তত তিনজন ইসরাইলি আহত হয়েছেন। হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, গাজায় বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরাইলি হামলার জবাবে এ রকেট হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা থেকে ছোড়া ১০টি রকেট শনাক্ত করেছে, যার বেশিরভাগই আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিহত করা হয়েছে।

গাজার পরিস্থিতি দিনদিন আরও সংকটময় হয়ে উঠছে। সাংবাদিক থেকে সাধারণ মানুষ, কেউই নিরাপদ নন। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে এই সহিংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় সাংবাদিকদের তাঁবুতে ইসরাইলের বর্বর হামলায় নিহত সাংবাদিক, হামাসের পাল্টা রকেট হামলা

আপডেট সময় ১১:৫১:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের নিষ্ঠুরতা থামছে না। সর্বশেষ রোববার ভোরে মধ্য গাজায় চালানো এক বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন একজন সাংবাদিকসহ কয়েকজন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের নিকটস্থ সাংবাদিকদের আবাসস্থলে ইসরাইলি বাহিনী আচমকা বিমান হামলা চালায়। এতে প্রাণ হারান ফিলিস্তিনি সাংবাদিক হিলমি আল-ফাকাওয়ি। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সাংবাদিক আহমেদ মনসুরকে। এ ছাড়াও আল জাজিরার ফটোগ্রাফার মাহমুদ আওয়াদ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক জানায়, দেইর আল-বালাহ এলাকা খালি করার নির্দেশ দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে গাজার আল-আকসা হাসপাতালের কাছেও ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলা চালায়। ওই এলাকায় যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষদের জন্য তৈরি অস্থায়ী তাঁবুতে হামলা চালানো হয়, যাতে বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিকতার চরম লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে।

একই দিনে রাতে গাজা থেকে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে কমপক্ষে ১০টি রকেট ছুড়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে অন্তত তিনজন ইসরাইলি আহত হয়েছেন। হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, গাজায় বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরাইলি হামলার জবাবে এ রকেট হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা থেকে ছোড়া ১০টি রকেট শনাক্ত করেছে, যার বেশিরভাগই আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিহত করা হয়েছে।

গাজার পরিস্থিতি দিনদিন আরও সংকটময় হয়ে উঠছে। সাংবাদিক থেকে সাধারণ মানুষ, কেউই নিরাপদ নন। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে এই সহিংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।