ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে কাঁপছে বিশ্ববাজার, আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ অর্ধশতাধিক দেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 39

ছবি সংগৃহীত

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত পাল্টা শুল্ক নীতির প্রভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন উত্তেজনা। এরই মধ্যে বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সমঝোতা আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

রবিবার মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হোয়াইট হাউসের জাতীয় অর্থনৈতিক পর্ষদের পরিচালক কেভিন হেসেট বলেন, “গত রাতে ইউএসটিআরের (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তর) কাছ থেকে পাওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫০টিরও বেশি দেশ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাচ্ছে। কারণ তারা বুঝতে পারছে, এই শুল্ক নীতির প্রভাবে তাদের অর্থনীতি বড় ধরনের চাপে পড়েছে।”

এদিকে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এনবিসি নিউজের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে জানান, শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর দেশগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এতে করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন “ক্ষমতার কেন্দ্রে” অবস্থান করছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কর্মকর্তাই এখনো এসব দেশের নাম বা আলোচনার বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি। হোয়াইট হাউস একসঙ্গে এত দেশকে নিয়ে সমঝোতা আলোচনায় বসা এক দুঃসাধ্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং–তে রবিবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার শর্ত হিসেবে তাইওয়ানের ওপর থেকে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের বাণিজ্য বাধা দূর করার প্রতিশ্রুতিও দেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানিজ বিনিয়োগ বাড়ানোর আশ্বাসও দেন তিনি।

অন্যদিকে বাণিজ্য বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের এই আগ্রাসী শুল্কনীতি বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যযুদ্ধ উসকে দিতে পারে, যার ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি নতুন করে মন্দার মুখে পড়তে পারে।

তবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট আশ্বস্ত করে বলেন, “শুক্রবার প্রকাশিত কর্মসংস্থানের তথ্য আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও ভালো। আমরা ইতিবাচক অগ্রগতি দেখছি এবং মন্দার কোনো কারণ দেখছি না।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে কাঁপছে বিশ্ববাজার, আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ অর্ধশতাধিক দেশ

আপডেট সময় ১০:৫৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত পাল্টা শুল্ক নীতির প্রভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন উত্তেজনা। এরই মধ্যে বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সমঝোতা আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

রবিবার মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হোয়াইট হাউসের জাতীয় অর্থনৈতিক পর্ষদের পরিচালক কেভিন হেসেট বলেন, “গত রাতে ইউএসটিআরের (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তর) কাছ থেকে পাওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫০টিরও বেশি দেশ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাচ্ছে। কারণ তারা বুঝতে পারছে, এই শুল্ক নীতির প্রভাবে তাদের অর্থনীতি বড় ধরনের চাপে পড়েছে।”

এদিকে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এনবিসি নিউজের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে জানান, শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর দেশগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এতে করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন “ক্ষমতার কেন্দ্রে” অবস্থান করছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কর্মকর্তাই এখনো এসব দেশের নাম বা আলোচনার বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি। হোয়াইট হাউস একসঙ্গে এত দেশকে নিয়ে সমঝোতা আলোচনায় বসা এক দুঃসাধ্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং–তে রবিবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার শর্ত হিসেবে তাইওয়ানের ওপর থেকে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের বাণিজ্য বাধা দূর করার প্রতিশ্রুতিও দেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানিজ বিনিয়োগ বাড়ানোর আশ্বাসও দেন তিনি।

অন্যদিকে বাণিজ্য বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের এই আগ্রাসী শুল্কনীতি বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যযুদ্ধ উসকে দিতে পারে, যার ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি নতুন করে মন্দার মুখে পড়তে পারে।

তবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট আশ্বস্ত করে বলেন, “শুক্রবার প্রকাশিত কর্মসংস্থানের তথ্য আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও ভালো। আমরা ইতিবাচক অগ্রগতি দেখছি এবং মন্দার কোনো কারণ দেখছি না।”