ঢাকা ০৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চট্টগ্রাম বন্দরে সচল আমদানি-রফতানি কার্যক্রম, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের পাশাপাশি জন্ম নেওয়া সন্তানদেরও বিতাড়িত করা উচিত: রিপাবলিকান সিনেটর আগামীকাল মঙ্গলবার ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে ভারতে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৫, আহত ১৫ সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস উল্টে ৬ শিশুসহ আহত অন্তত ২০ শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলা: সাবেক ভিসি হাসিবুরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাকিস্তান টেস্ট দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেলেন আজহার মাহমুদ স্থলবন্দরে রয়েছে নিরাপত্তায় ঘাটতি, আছে চোরাচালানের অভিযোগ: নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর

মানবিক সহায়তায় পিছু হটছে যুক্তরাষ্ট্র, ধনী দেশগুলোর প্রতি রুবিওর আহ্বান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২১:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 27

ছবি সংগৃহীত

 

 

বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তার ভার আর একা বহন করবে না যুক্তরাষ্ট্র এমনটাই জানালেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সম্প্রতি এক বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বের সরকার নই। আমরা যতটা সম্ভব সহায়তা করব, তবে নিজেদের প্রয়োজনে ভারসাম্য রাখতে হবে।”

যুক্তরাষ্ট্র এতদিন ধরে বিশ্বের মানবিক সহায়তার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ব্যয় একাই চালিয়ে এসেছে। তবে এই চাপ এখন আর বহন করা সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। রুবিওর মতে, এবার সময় হয়েছে চীন, ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য ধনী দেশগুলোকে সামনে এগিয়ে এসে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তার দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার।

তার এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন মায়ানমারে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পর যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ সহায়তা যথেষ্ট নয় বলে সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটি।

রুবিওর মন্তব্যের পেছনে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। চলতি বছরের শুরুতেই দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য সব ধরনের বিদেশি সাহায্য স্থগিত করেন। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির বেশিরভাগ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

এছাড়াও, সরকারের খরচ কমাতে ইলন মাস্কের নেতৃত্বে চলা ‘ফেডারেল সরকার ক্ষুদ্রীকরণ’ প্রকল্পের প্রভাবেও ইউএসএআইডির ভিত নড়িয়ে গেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এ নীতিগত পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক মানবিক সহায়তার মান ও পরিধি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে দুর্যোগপীড়িত, যুদ্ধবিধ্বস্ত ও খাদ্যসংকটে থাকা দেশগুলো আরও সংকটে পড়তে পারে।

তবে মার্কিন প্রশাসনের দাবি, এই সিদ্ধান্ত আত্মকেন্দ্রিক নয়, বরং বাস্তবতানির্ভর। এখন আর একক নেতৃত্ব নয়, বরং বৈশ্বিক সহযোগিতার মাধ্যমেই বিশ্বব্যাপী মানবিক সংকট মোকাবেলা করতে হবে এমনটাই চান রুবিও।

বিশ্ব রাজনীতির এই নতুন ভারসাম্যে ধনী দেশগুলোর অংশগ্রহণ কেমন হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

মানবিক সহায়তায় পিছু হটছে যুক্তরাষ্ট্র, ধনী দেশগুলোর প্রতি রুবিওর আহ্বান

আপডেট সময় ১১:২১:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

 

 

বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তার ভার আর একা বহন করবে না যুক্তরাষ্ট্র এমনটাই জানালেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সম্প্রতি এক বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বের সরকার নই। আমরা যতটা সম্ভব সহায়তা করব, তবে নিজেদের প্রয়োজনে ভারসাম্য রাখতে হবে।”

যুক্তরাষ্ট্র এতদিন ধরে বিশ্বের মানবিক সহায়তার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ব্যয় একাই চালিয়ে এসেছে। তবে এই চাপ এখন আর বহন করা সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। রুবিওর মতে, এবার সময় হয়েছে চীন, ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য ধনী দেশগুলোকে সামনে এগিয়ে এসে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তার দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার।

তার এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন মায়ানমারে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পর যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ সহায়তা যথেষ্ট নয় বলে সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটি।

রুবিওর মন্তব্যের পেছনে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। চলতি বছরের শুরুতেই দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য সব ধরনের বিদেশি সাহায্য স্থগিত করেন। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির বেশিরভাগ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

এছাড়াও, সরকারের খরচ কমাতে ইলন মাস্কের নেতৃত্বে চলা ‘ফেডারেল সরকার ক্ষুদ্রীকরণ’ প্রকল্পের প্রভাবেও ইউএসএআইডির ভিত নড়িয়ে গেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এ নীতিগত পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক মানবিক সহায়তার মান ও পরিধি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে দুর্যোগপীড়িত, যুদ্ধবিধ্বস্ত ও খাদ্যসংকটে থাকা দেশগুলো আরও সংকটে পড়তে পারে।

তবে মার্কিন প্রশাসনের দাবি, এই সিদ্ধান্ত আত্মকেন্দ্রিক নয়, বরং বাস্তবতানির্ভর। এখন আর একক নেতৃত্ব নয়, বরং বৈশ্বিক সহযোগিতার মাধ্যমেই বিশ্বব্যাপী মানবিক সংকট মোকাবেলা করতে হবে এমনটাই চান রুবিও।

বিশ্ব রাজনীতির এই নতুন ভারসাম্যে ধনী দেশগুলোর অংশগ্রহণ কেমন হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।