ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দিনাজপুরে লিচুর ফুলে মধু উৎপাদনে বিপ্লব, আয় ১২০ কোটি টাকার বেশি শেখ হাসিনার ফেরার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বৈশাখে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই, কঠোর নজরদারিতে থাকবে উৎসব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রক্রিয়া চূড়ান্তের পথে: সিইসি হজযাত্রী নিয়ে অনিশ্চয়তা: ধর্ম উপদেষ্টার হুঁশিয়ারি এজেন্সিগুলোর প্রতি বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বসানো উচিত হয়নি – মন্তব্য নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদের ব্যাংকিং খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বাংলাদেশ ও দ. কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের যুগান্তকারী চুক্তি টেকনাফ উপকূলে আরাকান আর্মির দাপট: ট্রলারসহ ১১ জেলে অপহৃত মহাকাশ অভিযানে নতুন অধ্যায়: নাসার আর্টেমিস অ্যাকর্ডে বাংলাদেশের চুক্তি সই কিছু মহল অধ্যাপক ইউনূসকে জোরপূর্বক আরও ৫ বছর ক্ষমতায় রাখতে চায়: মাহমুদুর রহমান মান্না

তেল আবিবে হুতিদের ড্রোন হামলা: ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

 

তেল আবিবের দখলকৃত ইয়াফা এলাকায় ইসরায়েলের একটি সামরিক স্থাপনায় সফল ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। শনিবার আল-মাসিরাহ টেলিভিশনে প্রচারিত এক বক্তব্যে এই হামলার দায় স্বীকার করেন গোষ্ঠীটির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।

ইয়াহিয়া সারি জানান, “ইয়াফা-টাইপ” ড্রোন ব্যবহার করে এই সামরিক অভিযানে ইসরায়েলের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। তিনি বলেন, “এই হামলা ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি আমাদের সংহতির অংশ হিসেবে চালানো হয়েছে। যতদিন গাজায় অবরোধ ও আগ্রাসন চলবে, ততদিন আমাদের প্রতিরোধ চলবে।”

তিনি আরও দাবি করেন, ইয়েমেনের সাদা প্রদেশে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পক্ষে গোয়েন্দা কার্যক্রমে নিয়োজিত একটি মার্কিন “জায়ান্ট শার্ক এফ-৩৬০” ড্রোন হুতিদের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এটি হুতিদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার একটি বড় উদাহরণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে ইসরায়েল দাবি করেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চল আরাভা এলাকায় পূর্ব দিক থেকে আসা একটি ড্রোন আটকাতে তারা সফল হয়েছে। তবে সেটি হুতিদের পাঠানো কি না, সে বিষয়ে তারা স্পষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির পর হুতি সাময়িকভাবে হামলা বন্ধ রাখে। কিন্তু সম্প্রতি ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগে গোষ্ঠীটি আবারও হামলা শুরু করে।

মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতি। হুতিদের এই হামলা ইসরায়েলের জন্য নতুন করে চাপ তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গাজায় চলমান যুদ্ধ যতদিন অব্যাহত থাকবে, ততদিন আঞ্চলিক জোটগুলোর মধ্যে সংঘাতের পরিসর আরও বাড়তে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
৫১২ বার পড়া হয়েছে

তেল আবিবে হুতিদের ড্রোন হামলা: ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি

আপডেট সময় ১১:০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

 

 

তেল আবিবের দখলকৃত ইয়াফা এলাকায় ইসরায়েলের একটি সামরিক স্থাপনায় সফল ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। শনিবার আল-মাসিরাহ টেলিভিশনে প্রচারিত এক বক্তব্যে এই হামলার দায় স্বীকার করেন গোষ্ঠীটির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।

ইয়াহিয়া সারি জানান, “ইয়াফা-টাইপ” ড্রোন ব্যবহার করে এই সামরিক অভিযানে ইসরায়েলের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। তিনি বলেন, “এই হামলা ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি আমাদের সংহতির অংশ হিসেবে চালানো হয়েছে। যতদিন গাজায় অবরোধ ও আগ্রাসন চলবে, ততদিন আমাদের প্রতিরোধ চলবে।”

তিনি আরও দাবি করেন, ইয়েমেনের সাদা প্রদেশে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পক্ষে গোয়েন্দা কার্যক্রমে নিয়োজিত একটি মার্কিন “জায়ান্ট শার্ক এফ-৩৬০” ড্রোন হুতিদের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এটি হুতিদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার একটি বড় উদাহরণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে ইসরায়েল দাবি করেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চল আরাভা এলাকায় পূর্ব দিক থেকে আসা একটি ড্রোন আটকাতে তারা সফল হয়েছে। তবে সেটি হুতিদের পাঠানো কি না, সে বিষয়ে তারা স্পষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির পর হুতি সাময়িকভাবে হামলা বন্ধ রাখে। কিন্তু সম্প্রতি ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগে গোষ্ঠীটি আবারও হামলা শুরু করে।

মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতি। হুতিদের এই হামলা ইসরায়েলের জন্য নতুন করে চাপ তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গাজায় চলমান যুদ্ধ যতদিন অব্যাহত থাকবে, ততদিন আঞ্চলিক জোটগুলোর মধ্যে সংঘাতের পরিসর আরও বাড়তে পারে।