যেসব অভ্যাসে কমতে পারে আপনার স্মৃতিশক্তি
স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যা এখন সব বয়সী মানুষের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। হঠাৎ বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলেও নাম মনে না পড়া কিংবা বাজারের তালিকা কোথায় রেখেছেন ভুলে যাওয়া, এসবই স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়ার লক্ষণ। মানসিক চাপ, বিশ্রামের অভাব, পরিবেশগত দূষণ, প্রযুক্তি আসক্তি, ঘুমের ঘাটতিসহ নানা কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে প্রতিদিনের কিছু অভ্যাসও স্মৃতিশক্তি আরও দুর্বল করে দিতে পারে। স্কাইবোল্ডের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
১. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
সঠিক খাদ্যাভ্যাস আমাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত চিনি ও ভাজাপোড়া খাবার স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে, ভিটামিন, খনিজ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী করে।
২. শারীরিক কার্যকলাপের অভাব
শুধু শরীর নয়, মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্যও শারীরিক ব্যায়াম প্রয়োজন। নিয়মিত ব্যায়াম মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত।
৩. পানির ঘাটতি
শরীরে পানির অভাব মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ব্যাহত করতে পারে। জলশূন্যতার কারণে মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরি।
৪. ঘুমের অভাব
পর্যাপ্ত ঘুম স্মৃতিশক্তির জন্য অপরিহার্য। ঘুমের অভাবে মস্তিষ্কের কোষগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে মনে রাখার ক্ষমতা কমতে থাকে। সুস্থ মস্তিষ্কের জন্য প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
৫. স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার
দীর্ঘ সময় স্মার্টফোন ব্যবহার মস্তিষ্ককে অলস করে তোলে এবং মনোযোগের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এছাড়া, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বাড়িয়ে স্মৃতিশক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
৬. ধূমপান ও মদ্যপান
ধূমপান ও অ্যালকোহল মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি করে এবং কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। দীর্ঘ সময় এসব অভ্যাস বজায় থাকলে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে পারে।
স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে চাইলে সুস্থ খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত পানি পান, ভালো ঘুম ও প্রযুক্তির সংযত ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এসব অভ্যাস পরিবর্তন করলেই স্মৃতিশক্তি সুস্থ ও সক্রিয় রাখা সম্ভব।