ঢাকা ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪২৯ জন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে সরকারের অগ্রগতি নেই: অভিযোগ নাহিদ ইসলামের পাকিস্তানকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন দিল চীন প্রেমিকার বিয়ের খবর শুনে কিশোরের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি মহল: ছাত্রশিবির সভাপতি হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘গুলতি’ মিসাইল সাথে রাখলেও আমি, আপনি কেউই নিরাপদ নই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শেরপুরের হলদীগ্রাম সীমান্তে ২৭৬ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ পাকিস্তান ও ভারতে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি, মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৭৯

ইরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহত ৫৬১ ছাড়ালো, দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:২১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 28

ছবি সংগৃহীত

 

ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত শহিদ রাজি বন্দরে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের পরপরই জরুরি উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

প্রচণ্ড শক্তিশালী ওই বিস্ফোরণের ফলে বন্দরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হরমোজান প্রদেশের জরুরি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, একটি ফুয়েল ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণের ফলে অন্তত ৫৬১ জন আহত হয়েছেন। তবে কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

আহতদের দ্রুত হরমোজান প্রদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হরমোজান সংকট ব্যবস্থাপনা দপ্তরের প্রধান বলেন, “বিস্ফোরণটি অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল এবং এখনো এর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে।”

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বন্দরের একটি প্রশাসনিক ভবন থেকেই বিস্ফোরণের সূত্রপাত। বিস্ফোরণে ভবনটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং এর আশপাশে থাকা একাধিক যানবাহনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্দরের সকল কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। নিরাপত্তা এবং উদ্ধারকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতায় কাজ করছে। আহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

ফারসি নিউজ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই তীব্র ছিল যে, কাশেম শহর থেকেও তা শোনা গেছে। উল্লেখ্য, কাশেম শহর বন্দর আব্বাস থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

এদিকে, ২০২০ সালে এই শহিদ রাজি বন্দর সাইবার হামলার শিকার হয়েছিল। ওই হামলায় বন্দরের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ায় পানিপথ ও সড়কপথে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট সে সময় জানিয়েছিল, ইসরায়েল ওই সাইবার হামলার পেছনে জড়িত থাকতে পারে, যা ইরানের একটি আগের সাইবার হামলার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়েছিল।

তবে এবারকার বিস্ফোরণের ঘটনায় ইসরায়েল সেনাবাহিনী কিংবা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহত ৫৬১ ছাড়ালো, দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি

আপডেট সময় ০৮:২১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

 

ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত শহিদ রাজি বন্দরে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের পরপরই জরুরি উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

প্রচণ্ড শক্তিশালী ওই বিস্ফোরণের ফলে বন্দরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হরমোজান প্রদেশের জরুরি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, একটি ফুয়েল ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণের ফলে অন্তত ৫৬১ জন আহত হয়েছেন। তবে কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

আহতদের দ্রুত হরমোজান প্রদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হরমোজান সংকট ব্যবস্থাপনা দপ্তরের প্রধান বলেন, “বিস্ফোরণটি অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল এবং এখনো এর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে।”

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বন্দরের একটি প্রশাসনিক ভবন থেকেই বিস্ফোরণের সূত্রপাত। বিস্ফোরণে ভবনটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং এর আশপাশে থাকা একাধিক যানবাহনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্দরের সকল কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। নিরাপত্তা এবং উদ্ধারকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতায় কাজ করছে। আহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

ফারসি নিউজ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই তীব্র ছিল যে, কাশেম শহর থেকেও তা শোনা গেছে। উল্লেখ্য, কাশেম শহর বন্দর আব্বাস থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

এদিকে, ২০২০ সালে এই শহিদ রাজি বন্দর সাইবার হামলার শিকার হয়েছিল। ওই হামলায় বন্দরের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ায় পানিপথ ও সড়কপথে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট সে সময় জানিয়েছিল, ইসরায়েল ওই সাইবার হামলার পেছনে জড়িত থাকতে পারে, যা ইরানের একটি আগের সাইবার হামলার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়েছিল।

তবে এবারকার বিস্ফোরণের ঘটনায় ইসরায়েল সেনাবাহিনী কিংবা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।