আজ পবিত্র শবে মেরাজ
আজ সোমবার (২৬ রজব) রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পালন করবেন পবিত্র শবে মেরাজ। এটি এমন এক রাত, যখন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) স্বর্গীয় ভ্রমণে গিয়ে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করেন। ইসলামি ঐতিহ্যে এই রাত নবীজির (সা.) জীবনে এক মহান সম্মান ও মুসলিম উম্মাহর জন্য অফুরন্ত কল্যাণের বার্তা নিয়ে আসে।
মেরাজের রাতে নবীজিকে (সা.) সিদরাতুল মুনতাহায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে তিনি আল্লাহর সরাসরি সাক্ষাৎ লাভ করেন। এই আধ্যাত্মিক ভ্রমণে মহানবী (সা.) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ মুসলিম উম্মাহর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিধান নিয়ে আসেন, যা ইসলামের মৌলিক ভিত্তি স্থাপনে ভূমিকা রাখে।
ইসলামি চিন্তাবিদরা মনে করেন, শবে মেরাজ হলো আল্লাহর প্রেম ও রহমতের গভীর প্রকাশ। এটি মুসলিম উম্মাহকে আধ্যাত্মিক উন্নয়ন ও আত্মশুদ্ধির জন্য অনুপ্রাণিত করে। নবীজির (সা.) জীবনের এই অধ্যায় শুধু অলৌকিক ঘটনার প্রমাণ নয়, বরং তাঁর সংগ্রাম ও ত্যাগের প্রতি আল্লাহর বিশেষ পুরস্কার।
বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করেন। কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির, দোয়া এবং দরুদ পাঠে মগ্ন হয়ে তাঁরা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। যদিও শরিয়তে এ রাতের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ইবাদতের বিধান নেই, তবু নবীজির (সা.) প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শনে বিশেষ ইবাদত করা হয়।
শবে মেরাজের বার্তা কেবল আধ্যাত্মিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি মুসলিম উম্মাহকে ধৈর্য, আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ নিবেদিত থাকার শিক্ষা দেয়। এ রাতটি আমাদের জীবনে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও দুনিয়ার সব সংকট অতিক্রম করার প্রেরণা জোগায়।