যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা বৃদ্ধি: যোগ হচ্ছে ফিলিস্তিনসহ আরও ছয় দেশ
- আপডেট সময় ০১:২৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
- / 27
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতা বাড়িয়ে আরও ছয়টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। নতুন তালিকায় সিরিয়ার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা ভ্রমণ নথিপত্রধারীরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। এ খবর জানিয়েছে টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
হোয়াইট হাউস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিবাসন ও সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে ট্রাম্প প্রশাসনের দীর্ঘদিনের নীতিগত অবস্থানের অংশ হিসেবেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত একটি প্রোক্লামেশনে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যার মাধ্যমে বিদেশি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের বিধান কার্যকর করা হয়েছে।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন ঘোষণার আওতায় বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়ার নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা ভ্রমণ নথিপত্রধারীদের ক্ষেত্রেও পূর্ণ প্রবেশ-নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এর আগে আরও ১২টি দেশ ইতোমধ্যে এই ধরনের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, নতুন এই নিষেধাজ্ঞা কতদিন বলবৎ থাকবে বা বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে কি না—সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
এর আগে গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। সেসব দেশের নাগরিকরা কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। পাশাপাশি আরও সাতটি দেশের নাগরিকদের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
সেসময় সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলো ছিল—আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। আর আংশিক নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল—বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এসব সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও জনগণের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়। যদিও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে অতীতের মতো এবারও এসব পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা ও আইনি চ্যালেঞ্জের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, তবুও প্রশাসন এগুলোকে বৈধ ও অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেছে।
















