ঢাকা ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভূমি সেবায় হয়রানির অবসান ঘটাতে মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবদ্ধ: সিনিয়র সচিব কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ১ ভারতীয় সেনা নিহত: নতুন করে বাড়ছে উত্তেজনা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে ‘বাধা সৃষ্টি করছে’ সরকারের একটি অংশ: রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত পরিবেশ উপেক্ষিত থাকলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: রিজওয়ানা হাসান রামগড়ে সীমান্তে ৫ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ শক্তিশালী মেঘমালায় উত্তাল বঙ্গোপসাগর, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জাপানে ৫০ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ট্যাক্সিচালক গ্রেপ্তার, ৩০০০ ছবি-ভিডিও উদ্ধার সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে বড় পদক্ষেপ, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমালো বিটিআরসি

মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভেজাল কয়লা, ফেরত পাঠানো হলো ৬৩ হাজার টনের চালান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৩:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / 39

ছবি সংগৃহীত

 

কক্সবাজারের মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ৬৩ হাজার টনের একটি কয়লার চালানে ভয়াবহ ভেজালের প্রমাণ মিলেছে। কয়লায় খালি চোখে ধরা পড়েছে ‘ফরেন পার্টিকেল’ বা মাটিজাতীয় কণা। এতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রের মূল্যবান যন্ত্রপাতির মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দেয়।

এ অবস্থায় কয়লার ওই চালান ফিরিয়ে দিয়েছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (সিপিজিসিএল)। কয়লাবাহী জাহাজটিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সিপিজিসিএলের নির্বাহী পরিচালক মো. নাজমুল হক জানান, “আমরা নির্ধারিত মানের কয়লা পাইনি। এতে অনেক মাটি মিশ্রিত ছিল, যা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব নয়। এ কয়লা ব্যবহারে যন্ত্রপাতির দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির ঝুঁকি ছিল।”

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, সিপিজিসিএলের নির্দেশে কয়লাবাহী এমভি ওরিয়েন্ট অর্কিড জাহাজটি বহির্নোঙরে অবস্থান করছে। গত ১৭ মার্চ মাতারবাড়ী বন্দরের চ্যানেলে প্রবেশের পর ২২ হাজার ৩৫০ টন কয়লা খালাস হলেও অতিরিক্ত মাটি থাকায় বারবার কনভেয়র বেল্ট বিকল হয়ে পড়ে। পরে বাকি ৪০ হাজার ৬৫০ টন কয়লা খালাস বন্ধ করে জাহাজটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানির দায়িত্ব পায় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আদিত্য বিরলা অ্যান্ড ইউনিক সিমেন্টের যৌথ উদ্যোগ। কিন্তু প্রতিশ্রুত উন্নতমানের পরিবর্তে তারা নিম্নমানের ও মিশ্রিত কয়লা পাঠিয়েছে।

মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মুহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েছি কয়লায় মাটিজাতীয় কণা রয়েছে। কেন্দ্রের সুরক্ষার স্বার্থে এ চালান বাতিল করেছি।”

কয়লার এই চালানের বাজারমূল্য প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্বার্থে ভবিষ্যতে এমন নিম্নমানের কয়লা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভেজাল কয়লা, ফেরত পাঠানো হলো ৬৩ হাজার টনের চালান

আপডেট সময় ১২:৫৩:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

কক্সবাজারের মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ৬৩ হাজার টনের একটি কয়লার চালানে ভয়াবহ ভেজালের প্রমাণ মিলেছে। কয়লায় খালি চোখে ধরা পড়েছে ‘ফরেন পার্টিকেল’ বা মাটিজাতীয় কণা। এতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রের মূল্যবান যন্ত্রপাতির মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দেয়।

এ অবস্থায় কয়লার ওই চালান ফিরিয়ে দিয়েছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (সিপিজিসিএল)। কয়লাবাহী জাহাজটিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সিপিজিসিএলের নির্বাহী পরিচালক মো. নাজমুল হক জানান, “আমরা নির্ধারিত মানের কয়লা পাইনি। এতে অনেক মাটি মিশ্রিত ছিল, যা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব নয়। এ কয়লা ব্যবহারে যন্ত্রপাতির দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির ঝুঁকি ছিল।”

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, সিপিজিসিএলের নির্দেশে কয়লাবাহী এমভি ওরিয়েন্ট অর্কিড জাহাজটি বহির্নোঙরে অবস্থান করছে। গত ১৭ মার্চ মাতারবাড়ী বন্দরের চ্যানেলে প্রবেশের পর ২২ হাজার ৩৫০ টন কয়লা খালাস হলেও অতিরিক্ত মাটি থাকায় বারবার কনভেয়র বেল্ট বিকল হয়ে পড়ে। পরে বাকি ৪০ হাজার ৬৫০ টন কয়লা খালাস বন্ধ করে জাহাজটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানির দায়িত্ব পায় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আদিত্য বিরলা অ্যান্ড ইউনিক সিমেন্টের যৌথ উদ্যোগ। কিন্তু প্রতিশ্রুত উন্নতমানের পরিবর্তে তারা নিম্নমানের ও মিশ্রিত কয়লা পাঠিয়েছে।

মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মুহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েছি কয়লায় মাটিজাতীয় কণা রয়েছে। কেন্দ্রের সুরক্ষার স্বার্থে এ চালান বাতিল করেছি।”

কয়লার এই চালানের বাজারমূল্য প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্বার্থে ভবিষ্যতে এমন নিম্নমানের কয়লা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।