ঢাকা ০৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহজালালে ২ যাত্রীর কাছ থেকে ৩১ মোবাইল জব্দ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানই আগ্রহ দেখায়নি খেলা সম্প্রচার করতে। যে কারণে সিরিজটি বিটিভিতে দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প চার বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে থানায় দেখা গুলশানে বন্ধ ব্যাটারি রিকশা, প্রতিবাদে চালকদের মিছিল বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য: জামায়াত আমীর সিরিয়ায় সেনা হ্রাস করছে যুক্তরাষ্ট্র, আইএস দমনে কৌশলগত পরিবর্তন বাংলাদেশ–তুরস্ক ঐতিহাসিক বৈঠক: বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখতে চায় তুরস্ক লবণাক্ত জমিতে বিনা চাষে সূর্যমুখীতে সফলতা, কৃষকদের মুখে হাসি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের দুই দফা দাবি, ৫ মে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

নতুন সরকারের পর রোজার পণ্য আমদানিতে সক্রিয় ৩১৭ প্রতিষ্ঠান, বেড়েছে আমদানিও

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৩:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / ৫২০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

নতুন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এবার রোজার বাজারে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। চলতি বছরে রোজার নিত্যপণ্য আমদানিতে নতুন করে সক্রিয় হয়েছে ৩১৭টি প্রতিষ্ঠান, যাদের অনেকে এর আগে আমদানির সঙ্গে যুক্ত ছিল না। এতে একদিকে যেমন বাজারে পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে, তেমনি প্রতিযোগিতাও ফিরে এসেছে যা ক্রেতাদের জন্য ইতিবাচক।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, জানুয়ারি থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে ৪৯৯টি প্রতিষ্ঠান ছোলা, ডাল, খেজুর, তেল, গমসহ রোজার প্রধান আটটি পণ্য আমদানি করেছে। এর মধ্যে ৩১৭টি প্রতিষ্ঠান নতুন বা আগে সক্রিয় ছিল না। গতবার সক্রিয় ছিল এমন ১৮১টি প্রতিষ্ঠান এবার আর আমদানিতে নেই।

নতুনদের মধ্যে রয়েছে সামুদা এডিবল অয়েল, সৈনিক ট্রেডার্স, ইনফিনাইট হরাইজন করপোরেশন, এমজি গ্লোবাল ট্রেড, সহোদর এন্টারপ্রাইজসহ আরও অনেকে। চট্টগ্রাম, গাজীপুর, ঢাকা ও বগুড়ার এসব প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো বড় অঙ্কের পণ্য আমদানি করেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের ডাল, গম ও তেল আমদানি করেছে।

প্রতিযোগিতা বাড়ায় আমদানির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় প্রায় ৯ লাখ টন বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩৫ লাখ টনে। ফলে বাজারে পণ্যের সংকট নেই, বরং কিছু পণ্যের দাম স্থিতিশীল বা কমেছে।

অন্যদিকে, আলোচিত এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো ফুডস, দেশবন্ধু সুগার মিলসসহ একাধিক বড় প্রতিষ্ঠান এবার আমদানিতে নিষ্ক্রিয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, আর্থিক অনিয়ম ও ব্যাংকঋণের জটিলতার কারণে এ সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, “নতুন আমদানিকারকদের অংশগ্রহণ বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতা ফিরিয়ে এনেছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

সব মিলিয়ে রোজার বাজারে এবার আমদানিতে নতুন উদ্যম, নতুন মুখ বাজার ব্যবস্থায় এক স্বস্তির পরশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

নতুন সরকারের পর রোজার পণ্য আমদানিতে সক্রিয় ৩১৭ প্রতিষ্ঠান, বেড়েছে আমদানিও

আপডেট সময় ১০:২৩:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

নতুন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এবার রোজার বাজারে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। চলতি বছরে রোজার নিত্যপণ্য আমদানিতে নতুন করে সক্রিয় হয়েছে ৩১৭টি প্রতিষ্ঠান, যাদের অনেকে এর আগে আমদানির সঙ্গে যুক্ত ছিল না। এতে একদিকে যেমন বাজারে পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে, তেমনি প্রতিযোগিতাও ফিরে এসেছে যা ক্রেতাদের জন্য ইতিবাচক।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, জানুয়ারি থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে ৪৯৯টি প্রতিষ্ঠান ছোলা, ডাল, খেজুর, তেল, গমসহ রোজার প্রধান আটটি পণ্য আমদানি করেছে। এর মধ্যে ৩১৭টি প্রতিষ্ঠান নতুন বা আগে সক্রিয় ছিল না। গতবার সক্রিয় ছিল এমন ১৮১টি প্রতিষ্ঠান এবার আর আমদানিতে নেই।

নতুনদের মধ্যে রয়েছে সামুদা এডিবল অয়েল, সৈনিক ট্রেডার্স, ইনফিনাইট হরাইজন করপোরেশন, এমজি গ্লোবাল ট্রেড, সহোদর এন্টারপ্রাইজসহ আরও অনেকে। চট্টগ্রাম, গাজীপুর, ঢাকা ও বগুড়ার এসব প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো বড় অঙ্কের পণ্য আমদানি করেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের ডাল, গম ও তেল আমদানি করেছে।

প্রতিযোগিতা বাড়ায় আমদানির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় প্রায় ৯ লাখ টন বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩৫ লাখ টনে। ফলে বাজারে পণ্যের সংকট নেই, বরং কিছু পণ্যের দাম স্থিতিশীল বা কমেছে।

অন্যদিকে, আলোচিত এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো ফুডস, দেশবন্ধু সুগার মিলসসহ একাধিক বড় প্রতিষ্ঠান এবার আমদানিতে নিষ্ক্রিয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, আর্থিক অনিয়ম ও ব্যাংকঋণের জটিলতার কারণে এ সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, “নতুন আমদানিকারকদের অংশগ্রহণ বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতা ফিরিয়ে এনেছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

সব মিলিয়ে রোজার বাজারে এবার আমদানিতে নতুন উদ্যম, নতুন মুখ বাজার ব্যবস্থায় এক স্বস্তির পরশ।