ঢাকা ১১:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন হবে আগামী বছরের শুরুতে : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ শত্রু রাষ্ট্রকে সহযোগিতায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান করলো ইরান গা/জা/য় ক্যাফে, স্কুল ও হাসপাতালে ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ৯৫ সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪২৯ জন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে সরকারের অগ্রগতি নেই: অভিযোগ নাহিদ ইসলামের পাকিস্তানকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন দিল চীন প্রেমিকার বিয়ের খবর শুনে কিশোরের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি মহল: ছাত্রশিবির সভাপতি

এবারের বাজেট আকারে বড় নয়, কিন্তু বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে: অর্থ উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 31

ছবি সংগৃহীত

 

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট অহেতুক বড় করা হবে না, বরং বাস্তবসম্মত ও জনকল্যাণমুখী হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাজেটে উন্নয়ন খাতে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পের ঠাঁই হবে না, বরং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত বাজেট আলোচনা সভায় দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন অর্থ উপদেষ্টা। সেখানে অর্থনীতির বর্তমান সংকট, বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়। সাংবাদিকরা মনে করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দক্ষতার সঙ্গে অর্থনৈতিক ধাক্কা সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে, তবে দীর্ঘমেয়াদে অপচয় রোধ ও কাঠামোগত সংস্কার জরুরি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, শুধু বাজেটের আকার বাড়ানোই সমাধান নয়, বরং অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। গৃহস্থালি শ্রমের অর্থনৈতিক স্বীকৃতি, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সামাজিক বৈষম্য কমানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বাজেটে প্রাধান্য পাবে।

তিনি জানান, এমন একটি বাজেট করা হবে, যা কোনো রাজনৈতিক সরকার পরিবর্তনের পরেও টিকিয়ে রাখতে বাধ্য হবে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সুবিধাভোগীদের ভাতা বাড়ানো হবে, যাতে নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিক সুরক্ষা পায়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা এবং জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে।

এনবিআরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের কাজ শুরু হবে, যা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী অর্থবছরের বাজেট হবে এমন, যা দেশকে টেকসই অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নেবে।

অর্থ উপদেষ্টা আরও জানান, ২০২৬ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে আরও দৃঢ় হবে। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে, যাতে দেশের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে। সরকারের পরিকল্পনা হলো, উন্নয়ন ব্যয় যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এবারের বাজেট আকারে বড় নয়, কিন্তু বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে: অর্থ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১০:৪৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

 

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট অহেতুক বড় করা হবে না, বরং বাস্তবসম্মত ও জনকল্যাণমুখী হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাজেটে উন্নয়ন খাতে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পের ঠাঁই হবে না, বরং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত বাজেট আলোচনা সভায় দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন অর্থ উপদেষ্টা। সেখানে অর্থনীতির বর্তমান সংকট, বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়। সাংবাদিকরা মনে করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দক্ষতার সঙ্গে অর্থনৈতিক ধাক্কা সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে, তবে দীর্ঘমেয়াদে অপচয় রোধ ও কাঠামোগত সংস্কার জরুরি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, শুধু বাজেটের আকার বাড়ানোই সমাধান নয়, বরং অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। গৃহস্থালি শ্রমের অর্থনৈতিক স্বীকৃতি, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সামাজিক বৈষম্য কমানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বাজেটে প্রাধান্য পাবে।

তিনি জানান, এমন একটি বাজেট করা হবে, যা কোনো রাজনৈতিক সরকার পরিবর্তনের পরেও টিকিয়ে রাখতে বাধ্য হবে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সুবিধাভোগীদের ভাতা বাড়ানো হবে, যাতে নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিক সুরক্ষা পায়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা এবং জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে।

এনবিআরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের কাজ শুরু হবে, যা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী অর্থবছরের বাজেট হবে এমন, যা দেশকে টেকসই অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নেবে।

অর্থ উপদেষ্টা আরও জানান, ২০২৬ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে আরও দৃঢ় হবে। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে, যাতে দেশের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে। সরকারের পরিকল্পনা হলো, উন্নয়ন ব্যয় যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা।