ঢাকা ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজার ত্রাণকেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২৭ মৌলভীবাজারে পৈতৃক জমি নিয়ে বিরোধে ২ বোনকে কুপিয়ে হত্যা ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীতে বড় রদবদল আনলেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ছুটির আমেজে শেষ কর্মদিবস আজ, কাল থেকে ১০ দিনের ছুটি দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন লি জে-মিয়ং ঈদ ফিরতি যাত্রা: আজ বিক্রি হচ্ছে ১৪ জুনের ট্রেনের টিকিট জি৭ সম্মেলনে মোদির অনুপস্থিতি সম্ভাব্য, আমন্ত্রণ জানায়নি কানাডা ভাঙ্গায় বাস-মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত, আহত আরও ৪ কুমিল্লায় অস্ত্র ও মাদকসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্য আটক আইপিএলের শিরোপা হাতে কোহলির কান্না: বেঙ্গালুরুর ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান

নজিরবিহীন লুটপাটে ক্ষতবিক্ষত ব্যাংকিং খাত: অর্থ উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

 

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার দুপুর ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে এক পূর্ব-ধারণকৃত ভাষণের মাধ্যমে এ বাজেট উপস্থাপন করা হয়।

বাজেট বক্তৃতায় দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর দুর্বলতা ও ব্যাংকিং খাতের অবনতির বিষয়ে খোলামেলা বক্তব্য দেন ড. সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন, “বিগত সময়ে নজিরবিহীন লুটপাট ও দুর্নীতির ফলে দেশের আর্থিক খাত বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

অর্থ উপদেষ্টা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র আড়াল করা হয়েছে। ‘বারবার পুনঃতফসিলের মাধ্যমে বাস্তব চিত্র গোপন করা হয়েছে’, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন:

“২০২৩ সালের জুন মাসে খেলাপি ঋণের হার যেখানে ছিল ১০.১১ শতাংশ, তা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০.২০ শতাংশ। এর মাধ্যমে আর্থিক খাতের প্রকৃত দুরবস্থার চিত্র উন্মোচিত হয়েছে।”

বর্তমান সরকার Loan-Loss Classification ও প্রভিশনিং পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করছে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা। এতে ব্যাংকগুলোর প্রকৃত আর্থিক সক্ষমতা পর্যালোচনা করা সম্ভব হচ্ছে।

তবে শুধু তথ্য উন্মোচন নয়, ‘Asset Quality Review (AQR)’ নামে একটি পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর প্রকৃত সম্পদের মান যাচাই করে ভবিষ্যৎ সংস্কারের ভিত্তি তৈরি করা হচ্ছে।

অর্থ উপদেষ্টার ভাষণে বারবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান ও ব্যাংকিং খাতে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার তাগিদ উঠে আসে। তিনি বলেন, এই বাজেট শুধু অর্থের হিসাব নয়, এটি দীর্ঘদিনের আর্থিক অব্যবস্থাপনার প্রতিকার হিসেবেও বিবেচিত হবে।

তিনি জানান, এবারের বাজেটে কোন খাতে কত বরাদ্দ থাকবে তা ধাপে ধাপে তুলে ধরা হবে। তবে ব্যাংকিং খাত পুনরুদ্ধারে বিশেষ বরাদ্দ এবং সংস্কারমূলক পদক্ষেপ থাকবে, এটাই বর্তমান সরকারের স্পষ্ট বার্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

নজিরবিহীন লুটপাটে ক্ষতবিক্ষত ব্যাংকিং খাত: অর্থ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৬:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

 

 

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার দুপুর ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে এক পূর্ব-ধারণকৃত ভাষণের মাধ্যমে এ বাজেট উপস্থাপন করা হয়।

বাজেট বক্তৃতায় দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর দুর্বলতা ও ব্যাংকিং খাতের অবনতির বিষয়ে খোলামেলা বক্তব্য দেন ড. সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন, “বিগত সময়ে নজিরবিহীন লুটপাট ও দুর্নীতির ফলে দেশের আর্থিক খাত বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

অর্থ উপদেষ্টা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র আড়াল করা হয়েছে। ‘বারবার পুনঃতফসিলের মাধ্যমে বাস্তব চিত্র গোপন করা হয়েছে’, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন:

“২০২৩ সালের জুন মাসে খেলাপি ঋণের হার যেখানে ছিল ১০.১১ শতাংশ, তা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০.২০ শতাংশ। এর মাধ্যমে আর্থিক খাতের প্রকৃত দুরবস্থার চিত্র উন্মোচিত হয়েছে।”

বর্তমান সরকার Loan-Loss Classification ও প্রভিশনিং পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করছে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা। এতে ব্যাংকগুলোর প্রকৃত আর্থিক সক্ষমতা পর্যালোচনা করা সম্ভব হচ্ছে।

তবে শুধু তথ্য উন্মোচন নয়, ‘Asset Quality Review (AQR)’ নামে একটি পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর প্রকৃত সম্পদের মান যাচাই করে ভবিষ্যৎ সংস্কারের ভিত্তি তৈরি করা হচ্ছে।

অর্থ উপদেষ্টার ভাষণে বারবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান ও ব্যাংকিং খাতে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার তাগিদ উঠে আসে। তিনি বলেন, এই বাজেট শুধু অর্থের হিসাব নয়, এটি দীর্ঘদিনের আর্থিক অব্যবস্থাপনার প্রতিকার হিসেবেও বিবেচিত হবে।

তিনি জানান, এবারের বাজেটে কোন খাতে কত বরাদ্দ থাকবে তা ধাপে ধাপে তুলে ধরা হবে। তবে ব্যাংকিং খাত পুনরুদ্ধারে বিশেষ বরাদ্দ এবং সংস্কারমূলক পদক্ষেপ থাকবে, এটাই বর্তমান সরকারের স্পষ্ট বার্তা।