০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

এপ্রিলের ১৯ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২১ হাজার কোটি টাকা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৫৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 71

ছবি সংগৃহীত

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনেই দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ১৭১ কোটি ৮৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা টাকায় পরিণত করলে (ডলারপ্রতি ১২২ টাকা ধরে) দাঁড়ায় প্রায় ২০ হাজার ৯৬৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

এই সময়ের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স। প্রবাসীরা এই খাতে পাঠিয়েছেন ৯৮ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার এই ধারা শুধু এপ্রিলেই নয়, চলতি বছরজুড়েই ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে। বিশেষ করে গত মার্চ মাসে দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে, যার পরিমাণ ৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। জানুয়ারিতে এসেছিল ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

বিজ্ঞাপন

অর্থনীতিবিদদের মতে, বিশ্ববাজারে কর্মসংস্থানের বিস্তার এবং প্রবাসীদের ব্যাংকিং চ্যানেলের প্রতি আস্থা বাড়ার কারণেই রেমিট্যান্স প্রবাহে এই চাঙাভাব দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা উৎসাহমূলক পদক্ষেপ ও রেমিট্যান্সে প্রণোদনা অব্যাহত থাকায় প্রবাসীরা হুন্ডি বাদ দিয়ে বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারাও মনে করছেন, সামনের ঈদ উপলক্ষে প্রবাসীদের অর্থপ্রেরণ আরও বাড়বে এবং এপ্রিল মাস শেষ হতে না হতেই চলতি বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ রেকর্ড হতে পারে।

অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত এই রেমিট্যান্স প্রবাহ দেশীয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করার পাশাপাশি আমদানি ব্যয় মেটাতেও বড় ভূমিকা রাখছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে সামগ্রিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরবে এবং মুদ্রাবাজারে চাপ কিছুটা হলেও কমবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এপ্রিলের ১৯ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২১ হাজার কোটি টাকা

আপডেট সময় ০৭:৫৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনেই দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ১৭১ কোটি ৮৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা টাকায় পরিণত করলে (ডলারপ্রতি ১২২ টাকা ধরে) দাঁড়ায় প্রায় ২০ হাজার ৯৬৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

এই সময়ের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স। প্রবাসীরা এই খাতে পাঠিয়েছেন ৯৮ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার এই ধারা শুধু এপ্রিলেই নয়, চলতি বছরজুড়েই ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে। বিশেষ করে গত মার্চ মাসে দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে, যার পরিমাণ ৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। জানুয়ারিতে এসেছিল ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

বিজ্ঞাপন

অর্থনীতিবিদদের মতে, বিশ্ববাজারে কর্মসংস্থানের বিস্তার এবং প্রবাসীদের ব্যাংকিং চ্যানেলের প্রতি আস্থা বাড়ার কারণেই রেমিট্যান্স প্রবাহে এই চাঙাভাব দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা উৎসাহমূলক পদক্ষেপ ও রেমিট্যান্সে প্রণোদনা অব্যাহত থাকায় প্রবাসীরা হুন্ডি বাদ দিয়ে বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারাও মনে করছেন, সামনের ঈদ উপলক্ষে প্রবাসীদের অর্থপ্রেরণ আরও বাড়বে এবং এপ্রিল মাস শেষ হতে না হতেই চলতি বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ রেকর্ড হতে পারে।

অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত এই রেমিট্যান্স প্রবাহ দেশীয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করার পাশাপাশি আমদানি ব্যয় মেটাতেও বড় ভূমিকা রাখছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে সামগ্রিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরবে এবং মুদ্রাবাজারে চাপ কিছুটা হলেও কমবে।