ঢাকা ০৯:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীর্ষ পতনে সৌদি শেয়ারবাজারে ধস , বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

সৌদি আরবের পুঁজিবাজারে রোববার (৬ এপ্রিল) রেকর্ড পরিমাণ ধস নেমেছে, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ একদিনে ক্ষতির নজির গড়েছে। দিন শেষে তাদাউল অল শেয়ার ইনডেক্স (টিএএসআই) ৬.৭৮ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৮০০ পয়েন্টের বেশি হারিয়েছে। এ ঘটনাকে ‘কোভিড-১৯ মহামারির পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল-ইখবারিয়া।

বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ববাজারে চলমান অস্থিরতা, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত নতুন বাণিজ্য শুল্কের প্রভাবেই সৌদি শেয়ারবাজারে এমন ভয়াবহ পতন দেখা দিয়েছে।

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং তেলের দামের ওঠানামা এমনিতেই সৌদি অর্থনীতিকে চাপে রেখেছে। এর ওপর বিশ্ববাজারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযুক্তির কারণে স্থানীয় বাজারে ক্ষতির ঢেউ আরও গভীর হয়েছে। বিশেষ করে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ এবং প্রযুক্তিখাতের শেয়ারে ব্যাপক দরপতনের কারণে সূচকের এমন তীব্র পতন ঘটেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এই পরিস্থিতিতে সৌদি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছেন, আবার কেউ কেউ শেয়ার বিক্রি করে পুঁজি তুলে নিচ্ছেন।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বিশ্ববাজারে যদি দ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরে না আসে, তবে সৌদি শেয়ারবাজারে এই নেতিবাচক ধারা আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। বিশেষ করে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির স্পষ্টতা না আসা পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের আস্থার ঘাটতি থেকেই যাবে।

সরকারি পর্যায়ে এখন পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের হস্তক্ষেপের ঘোষণা না এলেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

বিশ্ব অর্থনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সৌদি আরবের শেয়ারবাজারে এমন ধস কেবল স্থানীয় অর্থনীতিই নয়, বরং পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৫২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
৫১০ বার পড়া হয়েছে

শীর্ষ পতনে সৌদি শেয়ারবাজারে ধস , বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ

আপডেট সময় ০১:৫২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

 

সৌদি আরবের পুঁজিবাজারে রোববার (৬ এপ্রিল) রেকর্ড পরিমাণ ধস নেমেছে, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ একদিনে ক্ষতির নজির গড়েছে। দিন শেষে তাদাউল অল শেয়ার ইনডেক্স (টিএএসআই) ৬.৭৮ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৮০০ পয়েন্টের বেশি হারিয়েছে। এ ঘটনাকে ‘কোভিড-১৯ মহামারির পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল-ইখবারিয়া।

বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ববাজারে চলমান অস্থিরতা, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত নতুন বাণিজ্য শুল্কের প্রভাবেই সৌদি শেয়ারবাজারে এমন ভয়াবহ পতন দেখা দিয়েছে।

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং তেলের দামের ওঠানামা এমনিতেই সৌদি অর্থনীতিকে চাপে রেখেছে। এর ওপর বিশ্ববাজারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযুক্তির কারণে স্থানীয় বাজারে ক্ষতির ঢেউ আরও গভীর হয়েছে। বিশেষ করে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ এবং প্রযুক্তিখাতের শেয়ারে ব্যাপক দরপতনের কারণে সূচকের এমন তীব্র পতন ঘটেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এই পরিস্থিতিতে সৌদি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছেন, আবার কেউ কেউ শেয়ার বিক্রি করে পুঁজি তুলে নিচ্ছেন।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বিশ্ববাজারে যদি দ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরে না আসে, তবে সৌদি শেয়ারবাজারে এই নেতিবাচক ধারা আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। বিশেষ করে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির স্পষ্টতা না আসা পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের আস্থার ঘাটতি থেকেই যাবে।

সরকারি পর্যায়ে এখন পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের হস্তক্ষেপের ঘোষণা না এলেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

বিশ্ব অর্থনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সৌদি আরবের শেয়ারবাজারে এমন ধস কেবল স্থানীয় অর্থনীতিই নয়, বরং পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।