০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
শোকের ছায়া জাকসুতে সহকারী অধ্যাপকের মৃ-ত্যু প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনায় জাপানে এনসিপি নেতারা গ্রাফটিং টমেটো চাষে নতুন সম্ভাবনা, বাহুবলে কৃষকদের সফলতা বলসোনারোকে ২৭ বছরের সাজা দিল ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৫০ বিলিয়ন SAFE প্রতিরক্ষা কর্মসূচিতে তুরস্ক-দক্ষিণ কোরিয়াকে আমন্ত্রণ জানালো ইসরায়েলি হামলার ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়ে গেছে ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ভোট বানচালের ক্ষমতা কারও নেই: প্রেস সচিব রাকসু নির্বাচনে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে প্যানেল ঘোষণা জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন হবে: তাহের জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা ছাত্রদলের

আগাম ফলনে খুশি, দাম না পেয়ে চিন্তায় খাগড়াছড়ির আনারস চাষিরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 102

ছবি সংগৃহীত

 

 

খাগড়াছড়ির পাহাড়ি ঢালে সোনালী রঙে রোদ মেখে পাকতে শুরু করেছে হানিকুইন জাতের আনারস। আগাম ফলনে আশাবাদী মুখ নিয়ে মাঠে নামলেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় দুশ্চিন্তার ছায়া পড়েছে কৃষকের কপালে।

জেলার খাগড়াছড়ি সদর, মহালছড়ি ও গুইমারা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আনারসের আবাদ হয়। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন হয়েছে চমৎকার। হরমোন প্রযুক্তি ব্যবহারে সারা বছরই হানিকুইন জাতের আনারস ফলানো সম্ভব হচ্ছে, যার সুফল পাচ্ছেন কৃষকরা। তবে বিপণন সংকটে মুখ থুবড়ে পড়ছে তাদের স্বপ্ন।

চাষিরা জানান, একটি আনারস উৎপাদনে খরচ পড়ে ৫ থেকে ৭ টাকা। কিন্তু বাজারে সাইজভেদে তা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে। রোজার আগে বিপুল পরিমাণ আনারস বাগানে থাকলেও পর্যাপ্ত ক্রেতার অভাবে তা দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পাঠানো সম্ভব হয়নি। ফলে ক্ষতির আশঙ্কায় অনেকেই এখন আগাম ফল বিক্রিতে অনাগ্রহী হয়ে পড়েছেন।

ব্যবসায়ীরাও বলছেন, আনারসের ফলন ভালো হলেও পরিবহন ও বাজারজাতকরণে সমস্যা থাকায় লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না। আনারস পেকে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে কম দামে বাগান থেকেই বিক্রি করে দিচ্ছেন চাষিরা।

এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, পাহাড়ে পরিবেশবান্ধব ও লাভজনক চাষ হিসেবে আনারসের প্রসার ঘটছে দ্রুত। খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ বাছিরুল আলম জানান, বিকল্প চাষে কৃষকদের আগ্রহী করতে এ বছর ২০০ জন চাষিকে সরবরাহ করা হয়েছে সাড়ে চার লাখ আনারসের চারা। প্রত্যেকে পেয়েছেন ২,২৫০টি করে চারা।

তিনি জানান, এবছর জেলায় ১৬ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে হানিকুইন জাতের আনারস চাষ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪১ হাজার মেট্রিক টন। আশা করা হচ্ছে, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি উৎপাদন হবে।

তবে এ সফলতার স্থায়িত্ব পেতে হলে বাজার ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সুবিধা নিশ্চিত করতেই হবে এমনটাই মত চাষিদের। তাদের প্রশ্ন, “ফলন ভালো হলে কী হবে, যদি ফলের ন্যায্য দামই না পাই?”

নিউজটি শেয়ার করুন

আগাম ফলনে খুশি, দাম না পেয়ে চিন্তায় খাগড়াছড়ির আনারস চাষিরা

আপডেট সময় ০১:০২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

 

 

খাগড়াছড়ির পাহাড়ি ঢালে সোনালী রঙে রোদ মেখে পাকতে শুরু করেছে হানিকুইন জাতের আনারস। আগাম ফলনে আশাবাদী মুখ নিয়ে মাঠে নামলেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় দুশ্চিন্তার ছায়া পড়েছে কৃষকের কপালে।

জেলার খাগড়াছড়ি সদর, মহালছড়ি ও গুইমারা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আনারসের আবাদ হয়। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন হয়েছে চমৎকার। হরমোন প্রযুক্তি ব্যবহারে সারা বছরই হানিকুইন জাতের আনারস ফলানো সম্ভব হচ্ছে, যার সুফল পাচ্ছেন কৃষকরা। তবে বিপণন সংকটে মুখ থুবড়ে পড়ছে তাদের স্বপ্ন।

চাষিরা জানান, একটি আনারস উৎপাদনে খরচ পড়ে ৫ থেকে ৭ টাকা। কিন্তু বাজারে সাইজভেদে তা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে। রোজার আগে বিপুল পরিমাণ আনারস বাগানে থাকলেও পর্যাপ্ত ক্রেতার অভাবে তা দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পাঠানো সম্ভব হয়নি। ফলে ক্ষতির আশঙ্কায় অনেকেই এখন আগাম ফল বিক্রিতে অনাগ্রহী হয়ে পড়েছেন।

ব্যবসায়ীরাও বলছেন, আনারসের ফলন ভালো হলেও পরিবহন ও বাজারজাতকরণে সমস্যা থাকায় লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না। আনারস পেকে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে কম দামে বাগান থেকেই বিক্রি করে দিচ্ছেন চাষিরা।

এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, পাহাড়ে পরিবেশবান্ধব ও লাভজনক চাষ হিসেবে আনারসের প্রসার ঘটছে দ্রুত। খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ বাছিরুল আলম জানান, বিকল্প চাষে কৃষকদের আগ্রহী করতে এ বছর ২০০ জন চাষিকে সরবরাহ করা হয়েছে সাড়ে চার লাখ আনারসের চারা। প্রত্যেকে পেয়েছেন ২,২৫০টি করে চারা।

তিনি জানান, এবছর জেলায় ১৬ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে হানিকুইন জাতের আনারস চাষ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪১ হাজার মেট্রিক টন। আশা করা হচ্ছে, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি উৎপাদন হবে।

তবে এ সফলতার স্থায়িত্ব পেতে হলে বাজার ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সুবিধা নিশ্চিত করতেই হবে এমনটাই মত চাষিদের। তাদের প্রশ্ন, “ফলন ভালো হলে কী হবে, যদি ফলের ন্যায্য দামই না পাই?”