এনবিআরের পূর্ণ শাটডাউনে অচল দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম
- আপডেট সময় ০৫:৫১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
- / 93
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডাকে শনিবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন কর্মসূচি। এর ফলে রাজধানীসহ দেশের সকল কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর অফিসের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে। কেবল আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা চালু থাকলেও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
শনিবার সকালে ঢাকার আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন এনবিআরের বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী। সকাল ১১টা পর্যন্ত তাদের উপস্থিতিতে রাজস্ব ভবন এলাকার সড়ক ছিল কার্যত অবরুদ্ধ। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ও সাঁজোয়া যান মোতায়েন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসেও শাটডাউনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। দেশের প্রধান এই বন্দরে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের শুল্কায়ন কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও কেউ দায়িত্ব পালন করছেন না।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আগে আংশিক কর্মবিরতি চলছিল, কিন্তু আজ থেকে পুরোপুরি শাটডাউন কার্যকর হয়েছে, ফলে সব কার্যক্রম বন্ধ।
চট্টগ্রাম কাস্টম এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টম অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি রেজাউল করিম স্বপন জানান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের আগেই সতর্ক করা হয়েছিল, তাই আজ কেউ কাস্টম হাউসে আসেননি। এতে করে কার্যত আমদানি-রপ্তানি পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে।
একই চিত্র ঢাকার কাস্টম হাউসেও। কর্মকর্তাদের ভাষায়, আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ছাড়া অন্য কোনো কার্যক্রম চালু নেই। আন্দোলনকারীরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শাটডাউন চলাকালে তারা শুধুমাত্র যাত্রীসেবা চালু রাখবেন।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে এ পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন কর্মসূচি চলছে। পরিষদের সহ-সভাপতি মির্জা আশিক রানা বলেন, “রাজস্ব প্রশাসনে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।”
এদিকে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, শাটডাউনের কারণে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। একইসঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হলে দেশের অর্থনীতি ও রাজস্ব ঘাটতির ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
























