১২:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

ভারতের স্থলবন্দরে ৯ প্রকার বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • / 176

ছবি: সংগৃহীত

 

ভারত স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ৯ ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শুক্রবার (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এক বিবৃতিতে এ নির্দেশনা দেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের স্থলবন্দর দিয়ে এই নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্যগুলো আর আমদানি করা যাবে না। তবে এগুলো শুধুমাত্র ভারতের নভোসেবা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আনা যাবে।

বিজ্ঞাপন

নিষিদ্ধ হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা এবং বিশেষ ধরনের পাটজাত কাপড়।

এর আগে গত মে মাসে ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমদানিতেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। তখনও একইভাবে পোশাকপণ্য মহারাষ্ট্রের নভোসেবা এবং কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আনার অনুমতি রেখেছিল ভারত।

বাংলাদেশ প্রতিবছর ভারতে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। কিন্তু স্থলবন্দর দিয়ে এসব পোশাকপণ্য আমদানি বন্ধ হওয়ায় এ খাতে নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতর আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে নেপাল ও ভুটানের উদ্দেশ্যে যেসব পণ্য যাবে, সেগুলোর ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। তবে সেসব পণ্য পুনরায় রপ্তানি করা যাবে না বলেও স্পষ্ট করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশে নতুন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ছোট ব্যবসায়ী এবং পরিবহন খাতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

উল্লেখ্য, স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যের যাতায়াত সহজ এবং কম খরচের হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে স্থলপথের গুরুত্ব অনেক বেশি। ফলে নতুন এ নিষেধাজ্ঞায় সীমান্তবর্তী অর্থনৈতিক কার্যক্রমে স্থবিরতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে উভয় দেশের নীতি-নির্ধারকদের দ্রুত আলোচনায় বসা প্রয়োজন, যাতে সামগ্রিক বাণিজ্য সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতের স্থলবন্দরে ৯ প্রকার বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি

আপডেট সময় ১১:০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

 

ভারত স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ৯ ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শুক্রবার (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এক বিবৃতিতে এ নির্দেশনা দেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের স্থলবন্দর দিয়ে এই নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্যগুলো আর আমদানি করা যাবে না। তবে এগুলো শুধুমাত্র ভারতের নভোসেবা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আনা যাবে।

বিজ্ঞাপন

নিষিদ্ধ হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা এবং বিশেষ ধরনের পাটজাত কাপড়।

এর আগে গত মে মাসে ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমদানিতেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। তখনও একইভাবে পোশাকপণ্য মহারাষ্ট্রের নভোসেবা এবং কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আনার অনুমতি রেখেছিল ভারত।

বাংলাদেশ প্রতিবছর ভারতে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। কিন্তু স্থলবন্দর দিয়ে এসব পোশাকপণ্য আমদানি বন্ধ হওয়ায় এ খাতে নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতর আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে নেপাল ও ভুটানের উদ্দেশ্যে যেসব পণ্য যাবে, সেগুলোর ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। তবে সেসব পণ্য পুনরায় রপ্তানি করা যাবে না বলেও স্পষ্ট করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশে নতুন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ছোট ব্যবসায়ী এবং পরিবহন খাতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

উল্লেখ্য, স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যের যাতায়াত সহজ এবং কম খরচের হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে স্থলপথের গুরুত্ব অনেক বেশি। ফলে নতুন এ নিষেধাজ্ঞায় সীমান্তবর্তী অর্থনৈতিক কার্যক্রমে স্থবিরতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে উভয় দেশের নীতি-নির্ধারকদের দ্রুত আলোচনায় বসা প্রয়োজন, যাতে সামগ্রিক বাণিজ্য সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।