ঢাকা ০৫:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পেন্টাগনে ৫,৪০০ কর্মী ছাঁটাই, নতুন নিয়োগ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত দেশ গঠনে সবার ঐক্য দরকার: মির্জা ফখরুল ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা: অবৈধ অভিবাসীদের সামরিক ঘাঁটিতে আটকের উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন খনিজ চুক্তি: স্বাক্ষরের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে কমলগঞ্জে হলুদ ফুলকপির চাষে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি, চাষিরা উপভোগ করছেন লাভের সাফল্য নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন: বিজিবির দাবি, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা হোক স্পেসএক্স উৎক্ষেপণ করল ২৩টি স্টারলিংক স্যাটেলাইট, দ্রুত ইন্টারনেটের নতুন দিগন্ত রমজান মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহের স্বাভাবিকতা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি: জ্বালানি উপদেষ্টা বৈষম্যবিরোধীদের নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ আজ: স্লোগান হবে ‘স্টুডেন্টস ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’ ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা, স্থানীয়দের হাতে আটক যুবক

তুলা আমদানিতে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ: মার্কিন কৃষি বিভাগ

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

২০২৪-২৫ বাণিজ্য বছরে তুলা আমদানিতে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ এমন পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। মূলত তৈরি পোশাক খাতে চাহিদা বাড়ায় তুলা আমদানি বেড়েছে।

ইউএসডিএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বাণিজ্য বছরের শেষে বাংলাদেশের তুলা আমদানি ৮০ লাখ বেলে পৌঁছাতে পারে, যা পূর্বাভাসের তুলনায় দুই লাখ বেল বেশি। অন্যদিকে, চীনের আমদানি কমে ৭৩ লাখ বেলে নামতে পারে। ফলে বাংলাদেশ তুলা আমদানিতে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে উঠে আসবে।

তবে দেশের বস্ত্রকল মালিকরা বলছেন, গ্যাস-সংকটের কারণে অধিকাংশ মিল পূর্ণ সক্ষমতায় চালানো যাচ্ছে না। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) পরিচালক মোহা. খোরশেদ আলম বলেন, “আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা কম থাকায় শেষ পর্যন্ত এত তুলা আমদানি হবে না। এর বড় অংশ সুতা আকারে ভারত থেকে আসবে।”

বিটিএমএর তথ্যানুযায়ী, দেশে ৫১৯টি স্পিনিং মিল থাকলেও অনেকগুলো বন্ধ বা আংশিক চালু রয়েছে। এসব মিল নিট কাপড়ের ৮৫-৯০ শতাংশ এবং ওভেন কাপড়ের প্রায় ৪০ শতাংশ সুতা সরবরাহ করে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যানুযায়ী, গত বছর ১৮.৮৯ লাখ টন তুলা আমদানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৯% বেশি। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। পাশাপাশি ১২ লাখ টন সুতা আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৪৫ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা।

বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, “বাংলাদেশ সুতা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও গ্যাস-সংকটের কারণে মিলগুলো অর্ধেক চালু, অর্ধেক বন্ধ। ফলে স্থানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি পোশাক খাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারছে না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যাস-সংকট নিরসন না হলে তুলা আমদানি বাড়লেও দেশীয় বস্ত্র শিল্প কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাবে না, বরং ভারতীয় সুতা ও কাপড়ের ওপর নির্ভরশীলতা আরও বাড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫০৯ বার পড়া হয়েছে

তুলা আমদানিতে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ: মার্কিন কৃষি বিভাগ

আপডেট সময় ১০:০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

২০২৪-২৫ বাণিজ্য বছরে তুলা আমদানিতে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ এমন পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। মূলত তৈরি পোশাক খাতে চাহিদা বাড়ায় তুলা আমদানি বেড়েছে।

ইউএসডিএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বাণিজ্য বছরের শেষে বাংলাদেশের তুলা আমদানি ৮০ লাখ বেলে পৌঁছাতে পারে, যা পূর্বাভাসের তুলনায় দুই লাখ বেল বেশি। অন্যদিকে, চীনের আমদানি কমে ৭৩ লাখ বেলে নামতে পারে। ফলে বাংলাদেশ তুলা আমদানিতে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে উঠে আসবে।

তবে দেশের বস্ত্রকল মালিকরা বলছেন, গ্যাস-সংকটের কারণে অধিকাংশ মিল পূর্ণ সক্ষমতায় চালানো যাচ্ছে না। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) পরিচালক মোহা. খোরশেদ আলম বলেন, “আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা কম থাকায় শেষ পর্যন্ত এত তুলা আমদানি হবে না। এর বড় অংশ সুতা আকারে ভারত থেকে আসবে।”

বিটিএমএর তথ্যানুযায়ী, দেশে ৫১৯টি স্পিনিং মিল থাকলেও অনেকগুলো বন্ধ বা আংশিক চালু রয়েছে। এসব মিল নিট কাপড়ের ৮৫-৯০ শতাংশ এবং ওভেন কাপড়ের প্রায় ৪০ শতাংশ সুতা সরবরাহ করে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যানুযায়ী, গত বছর ১৮.৮৯ লাখ টন তুলা আমদানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৯% বেশি। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। পাশাপাশি ১২ লাখ টন সুতা আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৪৫ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা।

বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, “বাংলাদেশ সুতা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও গ্যাস-সংকটের কারণে মিলগুলো অর্ধেক চালু, অর্ধেক বন্ধ। ফলে স্থানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি পোশাক খাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারছে না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যাস-সংকট নিরসন না হলে তুলা আমদানি বাড়লেও দেশীয় বস্ত্র শিল্প কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাবে না, বরং ভারতীয় সুতা ও কাপড়ের ওপর নির্ভরশীলতা আরও বাড়বে।