১১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

শপআপের নতুন দিগন্ত: মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তার, পেল হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:১৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 74

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশি স্টার্টআপ শপআপ এবার ব্যবসার নতুন দিগন্তে পা রেখেছে। সৌদি আরবভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘সারি’র সঙ্গে একীভূত হয়ে গঠিত হয়েছে একটি নতুন কোম্পানি, যার নাম ‘সিল্ক গ্রুপ’। এ উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু শপআপ নয়, বাংলাদেশের স্টার্টআপ খাতও পৌঁছে গেল আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের মূলধারায়।

ব্লুমবার্গসহ একাধিক আন্তর্জাতিক ও দেশীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই একীভূতকরণের ফলে শপআপ পেয়েছে প্রায় ১১ কোটি মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা) বিনিয়োগ। বিনিয়োগ এসেছে সৌদি সরকারের পিআইএফের সানাবিল ইনভেস্টমেন্ট, পেপ্যাল সহ-প্রতিষ্ঠাতা পিটার থিয়েলের ভেঞ্চার ফান্ড, ই-বে’র প্রতিষ্ঠাতা পিয়ের ওমিডিয়ার, কুয়েতের ওয়াফ্রা এবং কাতার ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন প্রভাবশালী বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান থেকে।

বিজ্ঞাপন

যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে আজ বুধবার থেকে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনে এই চুক্তি ও বিনিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হতে পারে।

প্রতিষ্ঠান দুটি একীভূত হলেও নিজেদের নামে ও ব্যবস্থাপনায় আলাদা ভাবেই ব্যবসা পরিচালনা করবে শপআপ ও সারি। নতুন ‘সিল্ক গ্রুপ’ হবে মূল নিয়ন্ত্রক কোম্পানি, যার অধীনে তারা সৌদি আরব ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরু করা শপআপ মূলত একটি হোলসেল মার্কেটপ্লেস। তারা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য সংগ্রহ করে সেগুলো গুদামজাত করে পরিবেশক ও ক্ষুদ্র মুদি দোকানে সরবরাহ করে থাকে। বর্তমানে সারা বাংলাদেশে শপআপের রয়েছে ২০০টিরও বেশি পরিবেশক কেন্দ্র বা হাব।

তাদের সেবা শুধু পণ্য সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ চেইনে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবকাঠামো উন্নয়ন ও আর্থিক সাপোর্টও দিয়ে থাকে।

এই নতুন চুক্তি বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের জন্য বড় ধরনের স্বীকৃতি ও সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিল। শুধু বিনিয়োগই নয়, এটি প্রযুক্তি, দক্ষতা ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ এনে দিচ্ছে দেশের উদ্যোক্তাদের জন্য। শপআপের এই অগ্রযাত্রা নিঃসন্দেহে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে উঠবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শপআপের নতুন দিগন্ত: মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তার, পেল হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ

আপডেট সময় ০২:১৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশি স্টার্টআপ শপআপ এবার ব্যবসার নতুন দিগন্তে পা রেখেছে। সৌদি আরবভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘সারি’র সঙ্গে একীভূত হয়ে গঠিত হয়েছে একটি নতুন কোম্পানি, যার নাম ‘সিল্ক গ্রুপ’। এ উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু শপআপ নয়, বাংলাদেশের স্টার্টআপ খাতও পৌঁছে গেল আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের মূলধারায়।

ব্লুমবার্গসহ একাধিক আন্তর্জাতিক ও দেশীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই একীভূতকরণের ফলে শপআপ পেয়েছে প্রায় ১১ কোটি মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা) বিনিয়োগ। বিনিয়োগ এসেছে সৌদি সরকারের পিআইএফের সানাবিল ইনভেস্টমেন্ট, পেপ্যাল সহ-প্রতিষ্ঠাতা পিটার থিয়েলের ভেঞ্চার ফান্ড, ই-বে’র প্রতিষ্ঠাতা পিয়ের ওমিডিয়ার, কুয়েতের ওয়াফ্রা এবং কাতার ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন প্রভাবশালী বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান থেকে।

বিজ্ঞাপন

যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে আজ বুধবার থেকে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনে এই চুক্তি ও বিনিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হতে পারে।

প্রতিষ্ঠান দুটি একীভূত হলেও নিজেদের নামে ও ব্যবস্থাপনায় আলাদা ভাবেই ব্যবসা পরিচালনা করবে শপআপ ও সারি। নতুন ‘সিল্ক গ্রুপ’ হবে মূল নিয়ন্ত্রক কোম্পানি, যার অধীনে তারা সৌদি আরব ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরু করা শপআপ মূলত একটি হোলসেল মার্কেটপ্লেস। তারা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য সংগ্রহ করে সেগুলো গুদামজাত করে পরিবেশক ও ক্ষুদ্র মুদি দোকানে সরবরাহ করে থাকে। বর্তমানে সারা বাংলাদেশে শপআপের রয়েছে ২০০টিরও বেশি পরিবেশক কেন্দ্র বা হাব।

তাদের সেবা শুধু পণ্য সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ চেইনে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবকাঠামো উন্নয়ন ও আর্থিক সাপোর্টও দিয়ে থাকে।

এই নতুন চুক্তি বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের জন্য বড় ধরনের স্বীকৃতি ও সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিল। শুধু বিনিয়োগই নয়, এটি প্রযুক্তি, দক্ষতা ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ এনে দিচ্ছে দেশের উদ্যোক্তাদের জন্য। শপআপের এই অগ্রযাত্রা নিঃসন্দেহে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে উঠবে।