ঢাকা ১০:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নৈশপ্রহরীকে গুলি: হত্যা পরিকল্পনায় দুর্বৃত্তদের চক্র

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি নির্মম হত্যাকাণ্ডে নৈশপ্রহরীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনাটি স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সাভারে ঈদের রাতে রুবেল (৩০) নামে এক নৈশ প্রহরীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৩১ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাভার পৌর এলাকার বাঁশপট্টি মহল্লায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে শহরের একটি আবাসিক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নৈশপ্রহরী বাড়ির কাছে অবস্থান করছিলেন, এমন সময় কিছু দুর্বৃত্ত তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপরই সেখানে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে, যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। নিহত নৈশপ্রহীর নাম মো. সোহেল (৩৫)। তিনি স্থানীয় একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন এবং এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে। পুলিশ ধারণা করছে, দুর্বৃত্তরা হয়তো পূর্বপরিকল্পিতভাবে সোহেলকে টার্গেট করেছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, সোহেল কিছু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতেন বা প্রতিবাদ করেছিলেন, যার কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং সাক্ষী সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা রয়েছেন তাদের শনাক্ত করতে কাজ চলছে এবং দ্রুতই অপরাধীদের গ্রেফতারের আশা প্রকাশ করেছেন।

এই হত্যাকাণ্ডে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকেই নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় নেতারা বলেছেন, এই ধরনের ঘটনা সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ করে।

নৈশপ্রহী মো. সোহেলের হত্যাকাণ্ড একটি জটিল এবং উদ্বেগজনক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে এবং স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা কামনা করছে। এই ঘটনার পেছনে যে দুর্বৃত্তদের চক্র রয়েছে, তাদের শনাক্ত করা এবং দ্রুত আইনের আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরি। আশা করা যায়, প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং এলাকার নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৪৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫
৫০২ বার পড়া হয়েছে

নৈশপ্রহরীকে গুলি: হত্যা পরিকল্পনায় দুর্বৃত্তদের চক্র

আপডেট সময় ০৪:৪৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫

 

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি নির্মম হত্যাকাণ্ডে নৈশপ্রহরীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনাটি স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সাভারে ঈদের রাতে রুবেল (৩০) নামে এক নৈশ প্রহরীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৩১ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাভার পৌর এলাকার বাঁশপট্টি মহল্লায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে শহরের একটি আবাসিক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নৈশপ্রহরী বাড়ির কাছে অবস্থান করছিলেন, এমন সময় কিছু দুর্বৃত্ত তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপরই সেখানে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে, যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। নিহত নৈশপ্রহীর নাম মো. সোহেল (৩৫)। তিনি স্থানীয় একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন এবং এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে। পুলিশ ধারণা করছে, দুর্বৃত্তরা হয়তো পূর্বপরিকল্পিতভাবে সোহেলকে টার্গেট করেছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, সোহেল কিছু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতেন বা প্রতিবাদ করেছিলেন, যার কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং সাক্ষী সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা রয়েছেন তাদের শনাক্ত করতে কাজ চলছে এবং দ্রুতই অপরাধীদের গ্রেফতারের আশা প্রকাশ করেছেন।

এই হত্যাকাণ্ডে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকেই নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় নেতারা বলেছেন, এই ধরনের ঘটনা সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ করে।

নৈশপ্রহী মো. সোহেলের হত্যাকাণ্ড একটি জটিল এবং উদ্বেগজনক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে এবং স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা কামনা করছে। এই ঘটনার পেছনে যে দুর্বৃত্তদের চক্র রয়েছে, তাদের শনাক্ত করা এবং দ্রুত আইনের আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরি। আশা করা যায়, প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং এলাকার নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনবে।