লক্ষ্মীপুরে নৌপুলিশের ওপর হামলা, ১৩ জেলে আটক
লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করার সময় নৌপুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (৯ মার্চ) রাতে মজুচৌধুরী হাট নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপপরিদর্শক) সোহেল আহমেদ জানান, অভিযান পরিচালনার সময় জেলেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে নৌপুলিশের ওপর হামলা চালায়, যার ফলে এক পুলিশ কর্মকর্তা সহ চারজন আহত হন। হামলার শিকার হন নৌপুলিশের ইনচার্জ সোহেল আহমেদ, নায়েক সুকুমার রায়, কনস্টেবল জাহাঙ্গীর হোসেন এবং ট্রলার মাঝি জামাল হোসেন।
এই ঘটনায় আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পরে অভিযান চালিয়ে ১৩ জেলেকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে জাটকা সংরক্ষণ আইন এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে, অভিযান চলাকালে চারটি নৌকা, ৫৩১ মিটার কারেন্ট জাল এবং ১৮ কেজি জাটকা ইলিশ উদ্ধার করা হয়। মজুচৌধুরী হাট নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল আহমেদ বলেন, ‘‘মাছ ধরা নিষিদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি, যা সরকার নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।’’ তিনি আরও জানান, ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মৎস্য বিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে যাতে এই নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি কার্যকর হয়।
প্রসঙ্গত, মেঘনা নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং জাটকা সংরক্ষণ করা। এই ধরনের অভিযান নিষেধাজ্ঞার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।