ঢাকা ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপরাধ

লুট হওয়া ১৪০০ অস্ত্র ও গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি: চলমান অভিযান নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ 

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

৫ আগস্টের ঘটনার পর থেকে লুট হওয়া প্রায় ৬ হাজার অস্ত্রের মধ্যে ১ হাজার ৪০০টি অস্ত্র এবং আড়াই লাখ গুলি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনের কর্ম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব তথ্য শেয়ার করেন।

তিনি জানান, উদ্ধারকৃত অস্ত্রের সংখ্যা প্রায় তিন ভাগের চার ভাগ এবং গুলির মধ্যে ৬ লাখের মধ্যে আড়াই লাখ উদ্ধার হয়নি। তবে, তিনি আশাবাদী যে, চলমান যৌথ বাহিনীর অভিযানের মাধ্যমে বাকি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার সম্ভব হবে।

আবদুল হাফিজ আরও জানান, কিছু সংখ্যক স্বৈরাচারী এবং তাদের সহযোগীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংগঠিত হচ্ছেন এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পরিকল্পনা করছে। তিনি সতর্ক করেন যে, তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে, এবং এজন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে রমজান মাসে তাদের কার্যকলাপের মধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, যেমন বাজারদরের নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যুতের ঘাটতি এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বৃদ্ধি।

এছাড়া, ডিসিরা তাদের নিজ নিজ জেলায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা করছেন। বিশেষ করে নরসিংদীর ছয়টি দুর্গম ইউনিয়নে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেখানে বিশেষ অপারেশন চালানো হবে বলে তিনি জানান।

এখনো অনেক কঠিন কাজ বাকি, তবে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নত করতে এসব অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:১৬:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫০৫ বার পড়া হয়েছে

অপরাধ

লুট হওয়া ১৪০০ অস্ত্র ও গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি: চলমান অভিযান নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ 

আপডেট সময় ০৩:১৬:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

৫ আগস্টের ঘটনার পর থেকে লুট হওয়া প্রায় ৬ হাজার অস্ত্রের মধ্যে ১ হাজার ৪০০টি অস্ত্র এবং আড়াই লাখ গুলি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনের কর্ম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব তথ্য শেয়ার করেন।

তিনি জানান, উদ্ধারকৃত অস্ত্রের সংখ্যা প্রায় তিন ভাগের চার ভাগ এবং গুলির মধ্যে ৬ লাখের মধ্যে আড়াই লাখ উদ্ধার হয়নি। তবে, তিনি আশাবাদী যে, চলমান যৌথ বাহিনীর অভিযানের মাধ্যমে বাকি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার সম্ভব হবে।

আবদুল হাফিজ আরও জানান, কিছু সংখ্যক স্বৈরাচারী এবং তাদের সহযোগীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংগঠিত হচ্ছেন এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পরিকল্পনা করছে। তিনি সতর্ক করেন যে, তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে, এবং এজন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে রমজান মাসে তাদের কার্যকলাপের মধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, যেমন বাজারদরের নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যুতের ঘাটতি এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বৃদ্ধি।

এছাড়া, ডিসিরা তাদের নিজ নিজ জেলায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা করছেন। বিশেষ করে নরসিংদীর ছয়টি দুর্গম ইউনিয়নে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেখানে বিশেষ অপারেশন চালানো হবে বলে তিনি জানান।

এখনো অনেক কঠিন কাজ বাকি, তবে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নত করতে এসব অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।