কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার

- আপডেট সময় ০৬:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
- / 8
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে মোহন আলী মন্ডল (২৪) নামের এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার জামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে অভিযান চালিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে এবং প্রায় ৯ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে।
নিহত মোহন জামালপুর গ্রামের মৃত মদন আলী মন্ডলের ছেলে। কৃষিকাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি।
বিজিবির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাত আটটার দিকে মোহন ও হৃদয় নামের আরেক যুবক মোটরসাইকেলে করে রামকৃষ্ণপুর থেকে জামালপুর যাচ্ছিলেন। পথে আশ্রয়ণ বিওপি এলাকার সীমান্ত পিলার থেকে ৫০০ গজ ভেতরে বাবলাতলা এলাকায় তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী। দেশি অস্ত্র দিয়ে তাদের ঘাড় ও মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়।
বিজিবির টহল দল খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। মোহনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ঘটনার পর বিজিবি অভিযান চালিয়ে রাত তিনটার দিকে আশ্রয়ণ বিওপি সীমান্ত পিলারের ৫০ গজ ভেতরে ঠোটারপাড়া এলাকা থেকে মো. সোহেল (২৮) নামের একজনকে আটক করে। তিনি ওই গ্রামের মিল্টনের ছেলে। তার কাছ থেকে ৭৫ বোতল ফেনসিডিল ও ১৭ বোতল ভারতীয় এলএসডি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক বাজারমূল্য ৮ কোটি ৮৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা বলে বিজিবি জানিয়েছে। আহত হৃদয় সোহেলকে শনাক্ত করেছেন।
আজ শনিবার সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গের সামনে নিহত মোহনের মামা মো. বকুল হোসেন বলেন, ‘বিকেলে মোহনকে ফোন করে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর আর ফোন ধরেনি। রাতে বিজিবির একজন সদস্য মোহনের ফোন ধরে জানান, সে গুরুতর আহত। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজিবির সহায়তায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।’ তিনি দাবি করেন, ভাগনের পিঠের নিচে গুলির চিহ্নও দেখেছেন। তিনি এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করবেন বলে জানান।
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের মুখপাত্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপস) ফয়সাল মাহমুদ জানান, মাদক লেনদেনের বিরোধ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিক ধারণা। একজনকে আটক করা হয়েছে। গুলির বিষয়টি ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। থানা-পুলিশ ও ডিবি যৌথভাবে তদন্ত করছে।