১০:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

কচুয়ায় মাদ্রাসাছাত্র মিলন হত্যা: দুই জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • / 33

ছবি সংগৃহীত

 

চাঁদপুরের কচুয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মাদ্রাসাছাত্র মো. মিলন হোসেনকে শ্বাসরোধ ও পানিতে ডুবিয়ে হত্যার দায়ে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক সৈয়দ তাফাজ্জল হোসেন হিরু এ রায় ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কান্দিরপাড় প্রধানিয়া বাড়ির মো. ইমাম হোসেনের ছেলে শামিম হোসেন (২৮) ও পার্শ্ববর্তী পাড়াগাঁও গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে সোহাগ হোসেন (২৮)। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রাব্বি হোসেন (২৮) একই এলাকার ফরাজি বাড়ির আবুল বাসারের ছেলে।

হত্যাকাণ্ডের শিকার মিলন হোসেন (১২) কচুয়ার কান্দিরপাড় গ্রামের মো. তাজুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় চাপাতলী মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৯ জুন দুপুরে মিলন বাজারে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেনি। পরদিন তার বড় ভাই মো. রিপন হোসেন কচুয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

এরপর ২ জুলাই স্থানীয়দের মাধ্যমে পরিবারের কাছে খবর আসে শামিম, সোহাগ ও রাব্বি পরিকল্পিতভাবে মিলনকে পাশের জমিতে নিয়ে শ্বাসরোধ ও পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছে।

স্থানীয়দের সহায়তায় প্রথমে শামিমকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সোহাগ ও রাব্বিকেও আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। একই দিন মিলনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ এবং আসামিদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই রিপন হোসেন বাদী হয়ে কচুয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. ওয়াজেদ আলী ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে চলা এ মামলায় আদালত ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। প্রমাণ ও স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে শামিম ও সোহাগকে মৃত্যুদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রাব্বিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলায় ছিলেন অ্যাডভোকেট নুরুল হক কমল।

নিউজটি শেয়ার করুন

কচুয়ায় মাদ্রাসাছাত্র মিলন হত্যা: দুই জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০৫:২১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

 

চাঁদপুরের কচুয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মাদ্রাসাছাত্র মো. মিলন হোসেনকে শ্বাসরোধ ও পানিতে ডুবিয়ে হত্যার দায়ে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক সৈয়দ তাফাজ্জল হোসেন হিরু এ রায় ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কান্দিরপাড় প্রধানিয়া বাড়ির মো. ইমাম হোসেনের ছেলে শামিম হোসেন (২৮) ও পার্শ্ববর্তী পাড়াগাঁও গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে সোহাগ হোসেন (২৮)। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রাব্বি হোসেন (২৮) একই এলাকার ফরাজি বাড়ির আবুল বাসারের ছেলে।

হত্যাকাণ্ডের শিকার মিলন হোসেন (১২) কচুয়ার কান্দিরপাড় গ্রামের মো. তাজুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় চাপাতলী মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৯ জুন দুপুরে মিলন বাজারে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেনি। পরদিন তার বড় ভাই মো. রিপন হোসেন কচুয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

এরপর ২ জুলাই স্থানীয়দের মাধ্যমে পরিবারের কাছে খবর আসে শামিম, সোহাগ ও রাব্বি পরিকল্পিতভাবে মিলনকে পাশের জমিতে নিয়ে শ্বাসরোধ ও পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছে।

স্থানীয়দের সহায়তায় প্রথমে শামিমকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সোহাগ ও রাব্বিকেও আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। একই দিন মিলনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ এবং আসামিদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই রিপন হোসেন বাদী হয়ে কচুয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. ওয়াজেদ আলী ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে চলা এ মামলায় আদালত ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। প্রমাণ ও স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে শামিম ও সোহাগকে মৃত্যুদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রাব্বিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলায় ছিলেন অ্যাডভোকেট নুরুল হক কমল।