ঢাকা ১২:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

মুন্সীগঞ্জে সালিসে ত্রৈমূর্ত হত্যাকাণ্ড: তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, পাঁচজনের যাবজ্জীবন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:০৩:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • / 74

ছবি সংগৃহীত

 

চার বছর আগে মুন্সীগঞ্জে সালিস বৈঠকে তিনজনকে হত্যা করার ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. মাসুদ করিম আজ বৃহস্পতিবার আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সৌরভ প্রধান, রনি বেপারী ও শিহাব প্রধান। এছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন শাকিব প্রধান, শামীম প্রধান, অনিক বেপারী, রায়হান ও ছোট জাহাঙ্গীর।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে দায়িত্ব পালন করা স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (এসপিপি) মো. বিল্লাল হোসেন জানান, দণ্ডিত শিহাব, শাকিব ও শামীম প্রধান আপন ভাই।

মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ২০২১ সালের ২৪ মার্চ বিকেলে মুন্সীগঞ্জ শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকায় দুই দল কিশোর-তরুণের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার মীমাংসা করতে সেদিন রাতেই স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

কিন্তু সেই সালিসই রূপ নেয় ভয়াবহ রক্তাক্ত সংঘর্ষে। সালিস চলাকালীন সময়ে আসামি সৌরভ, শিহাব ও শামীম প্রধান ছুরিকাঘাত করে তিনজনকে হত্যা করে। নিহতরা হলেন—ইমন হোসেন (২২), সাকিব হোসেন (১৯) ও মিন্টু প্রধান (৪০)।

পরদিন নিহত মিন্টু প্রধানের স্ত্রী খালেদা আক্তার বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়।

মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। বিচারকাজ শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার দিন ট্রাইব্যুনাল আদালত আটজনকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং বাকিদের খালাস দেন।

রায়ের পর বিচার সংশ্লিষ্টরা জানান, সমাজে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করতে এ ধরনের দৃষ্টান্তমূলক সাজা অত্যন্ত জরুরি। হত্যার মতো নৃশংস অপরাধে কঠোর শাস্তি অপরাধপ্রবণতা কমাতে সহায়ক হবে বলে আশা করছেন আইনজীবীরা।

মুন্সীগঞ্জের আলোচিত এই হত্যাকাণ্ড দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনায় ছিল। শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচার পাওয়া নিহতদের পরিবারের কাছে কিছুটা হলেও স্বস্তির বার্তা নিয়ে এলো আজকের রায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

মুন্সীগঞ্জে সালিসে ত্রৈমূর্ত হত্যাকাণ্ড: তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, পাঁচজনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০৫:০৩:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

চার বছর আগে মুন্সীগঞ্জে সালিস বৈঠকে তিনজনকে হত্যা করার ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. মাসুদ করিম আজ বৃহস্পতিবার আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সৌরভ প্রধান, রনি বেপারী ও শিহাব প্রধান। এছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন শাকিব প্রধান, শামীম প্রধান, অনিক বেপারী, রায়হান ও ছোট জাহাঙ্গীর।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে দায়িত্ব পালন করা স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (এসপিপি) মো. বিল্লাল হোসেন জানান, দণ্ডিত শিহাব, শাকিব ও শামীম প্রধান আপন ভাই।

মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ২০২১ সালের ২৪ মার্চ বিকেলে মুন্সীগঞ্জ শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকায় দুই দল কিশোর-তরুণের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার মীমাংসা করতে সেদিন রাতেই স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

কিন্তু সেই সালিসই রূপ নেয় ভয়াবহ রক্তাক্ত সংঘর্ষে। সালিস চলাকালীন সময়ে আসামি সৌরভ, শিহাব ও শামীম প্রধান ছুরিকাঘাত করে তিনজনকে হত্যা করে। নিহতরা হলেন—ইমন হোসেন (২২), সাকিব হোসেন (১৯) ও মিন্টু প্রধান (৪০)।

পরদিন নিহত মিন্টু প্রধানের স্ত্রী খালেদা আক্তার বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়।

মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। বিচারকাজ শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার দিন ট্রাইব্যুনাল আদালত আটজনকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং বাকিদের খালাস দেন।

রায়ের পর বিচার সংশ্লিষ্টরা জানান, সমাজে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করতে এ ধরনের দৃষ্টান্তমূলক সাজা অত্যন্ত জরুরি। হত্যার মতো নৃশংস অপরাধে কঠোর শাস্তি অপরাধপ্রবণতা কমাতে সহায়ক হবে বলে আশা করছেন আইনজীবীরা।

মুন্সীগঞ্জের আলোচিত এই হত্যাকাণ্ড দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনায় ছিল। শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচার পাওয়া নিহতদের পরিবারের কাছে কিছুটা হলেও স্বস্তির বার্তা নিয়ে এলো আজকের রায়।