০৪:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

ফেসবুকে মন্তব্য ঘিরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ব্যাপক সংঘর্ষ, আহত ২০

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / 93

ছবি: সংগৃহীত

 

ফেসবুকে দেওয়া একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষীপুর এলাকায় এ সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলকরা ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা জামায়াত সমর্থক মো. তারেক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০২০ সালে একটি ধর্ষণ মামলা হয়। সে সময় এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয়রা ব্যাপক লেখালেখি করেন। সম্প্রতি সেই পুরনো একটি ফেসবুক পোস্টে যুবদলের কর্মী হৃদয় মন্তব্য করেন, ‘ধর্ষকের তো এখনও বিচার হলো না।’ এই মন্তব্যের জের ধরে গত ১৬ মার্চ লক্ষীপুর বাজারে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা হৃদয়কে মারধর করেন।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনার স্থানীয় সমাধানের উদ্দেশ্যে সোমবার রাতে সালিশি সভার আয়োজন করা হলেও সভা শুরুর আগেই দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই সংঘর্ষ শুরু হলে উভয়পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হন। এ সময় হামলাকারীরা একে অপরের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি গুরুতর হলে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আলকরা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফ অভিযোগ করেন, ‘সালিশের নামে জামায়াত-শিবির পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমাদের অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। কয়েকটি বাড়িঘরেও হামলা চালানো হয়।’

তবে জামায়াতের উপজেলা সেক্রেটারি মো. বেলাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বিএনপির লোকজনই আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে আমাদের ১০ কর্মী আহত হয়েছেন। আমরা আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
এদিকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম বলেন, জামায়াতের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে পরিস্থিতি অশান্ত করেছে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হিলাল উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি রাজনৈতিক রূপ নিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ফেসবুকে মন্তব্য ঘিরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ব্যাপক সংঘর্ষ, আহত ২০

আপডেট সময় ০২:৫০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

 

ফেসবুকে দেওয়া একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষীপুর এলাকায় এ সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলকরা ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা জামায়াত সমর্থক মো. তারেক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০২০ সালে একটি ধর্ষণ মামলা হয়। সে সময় এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয়রা ব্যাপক লেখালেখি করেন। সম্প্রতি সেই পুরনো একটি ফেসবুক পোস্টে যুবদলের কর্মী হৃদয় মন্তব্য করেন, ‘ধর্ষকের তো এখনও বিচার হলো না।’ এই মন্তব্যের জের ধরে গত ১৬ মার্চ লক্ষীপুর বাজারে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা হৃদয়কে মারধর করেন।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনার স্থানীয় সমাধানের উদ্দেশ্যে সোমবার রাতে সালিশি সভার আয়োজন করা হলেও সভা শুরুর আগেই দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই সংঘর্ষ শুরু হলে উভয়পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হন। এ সময় হামলাকারীরা একে অপরের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি গুরুতর হলে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আলকরা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফ অভিযোগ করেন, ‘সালিশের নামে জামায়াত-শিবির পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমাদের অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। কয়েকটি বাড়িঘরেও হামলা চালানো হয়।’

তবে জামায়াতের উপজেলা সেক্রেটারি মো. বেলাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বিএনপির লোকজনই আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে আমাদের ১০ কর্মী আহত হয়েছেন। আমরা আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
এদিকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম বলেন, জামায়াতের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে পরিস্থিতি অশান্ত করেছে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হিলাল উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি রাজনৈতিক রূপ নিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’