ঢাকা ০৮:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার

হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে আটকে গেল নতুন দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:০৫:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / 35

ছবি: সংগৃহীত

 

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই বিজ্ঞপ্তি কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কেএম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রুলের জবাব দিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনকে চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) এই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবেদা গুলরুখ। রিট আবেদনে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তিটি রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সংবিধান ও বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এতে গণতান্ত্রিক ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ ব্যাহত হতে পারে বলেও দাবি করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে নতুন দলগুলোকে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করতে আহ্বান জানানো হয়। তবে হাইকোর্টের এই আদেশের ফলে নতুন দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া আপাতত আটকে গেল। নিবন্ধনের স্থগিতাদেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আবেদনকারী হাসনাত কাইয়ুম। তিনি বলেন, ‘ইসি যেভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, তা গণতান্ত্রিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক চর্চার স্বার্থেই আদালতে রিট করা হয়েছে।’

এদিকে, এই রুলের ফলে নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক কার্যক্রমে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হলো। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কমিশনকে জবাব দিতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ এই মামলার রায়ের ওপর নির্ভর করছে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর ভবিষ্যৎ। আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত অনিশ্চিত থাকবে রাজনৈতিক অঙ্গনের নতুন মুখদের পথচলা।

নিউজটি শেয়ার করুন

হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে আটকে গেল নতুন দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া

আপডেট সময় ০৩:০৫:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

 

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই বিজ্ঞপ্তি কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কেএম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রুলের জবাব দিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনকে চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) এই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবেদা গুলরুখ। রিট আবেদনে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তিটি রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সংবিধান ও বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এতে গণতান্ত্রিক ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ ব্যাহত হতে পারে বলেও দাবি করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে নতুন দলগুলোকে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করতে আহ্বান জানানো হয়। তবে হাইকোর্টের এই আদেশের ফলে নতুন দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া আপাতত আটকে গেল। নিবন্ধনের স্থগিতাদেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আবেদনকারী হাসনাত কাইয়ুম। তিনি বলেন, ‘ইসি যেভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, তা গণতান্ত্রিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক চর্চার স্বার্থেই আদালতে রিট করা হয়েছে।’

এদিকে, এই রুলের ফলে নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক কার্যক্রমে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হলো। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কমিশনকে জবাব দিতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ এই মামলার রায়ের ওপর নির্ভর করছে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর ভবিষ্যৎ। আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত অনিশ্চিত থাকবে রাজনৈতিক অঙ্গনের নতুন মুখদের পথচলা।