ঢাকা ০৩:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভোলায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে ১৪ কোটির অবৈধ জাল ও পলিথিন জব্দ নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র হামলায় ৯ জন নিহত, শতাধিক নারী-শিশুকে অপহরণ মসজিদ কমিটি নিয়ে আমার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশকে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার প্রস্তাব জানালো আফগানিস্তান শৃঙ্খলা ও মানবিক মূল্যবোধ ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়: সেনাবাহিনী প্রধান যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইসরায়েলের, আমরা দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত: হামাস জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতেই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলছে: ড. মঈন খান গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো হামলায় নিহত ৫১, আহত বহু ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ১০ বিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা যুদ্ধবিরতিতে রাজি সিরিয়া- ইসরায়েল, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পোস্ট

মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
  • / 76

ছবি: সংগৃহীত

 

মাগুরায় আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার (১৭ মে) সকালে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে হিটুর স্ত্রী জাহেদা বেগম এবং সন্তান সজীব শেখ ও রাতুল শেখকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রায়ের তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদাপ্রাপ্ত আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। অভিযোগ গঠন বা বিচার শুরুর ২১ দিনের মাথায় আলোচিত মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হলো।

গত ১৩ এপ্রিল পুলিশ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় এবং ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৭ এপ্রিল। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মেডিকেল অ্যাভিডেন্স ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।

গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের শিশু আছিয়া। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে মাগুরা ও ফরিদপুরের হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়, যা দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে।

১৫ মার্চ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে শিশুটির বোনের শ্বশুর ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। শিশুটি ৬ মার্চ বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল এবং সেই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ১১:০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

 

মাগুরায় আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার (১৭ মে) সকালে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে হিটুর স্ত্রী জাহেদা বেগম এবং সন্তান সজীব শেখ ও রাতুল শেখকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রায়ের তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদাপ্রাপ্ত আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। অভিযোগ গঠন বা বিচার শুরুর ২১ দিনের মাথায় আলোচিত মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হলো।

গত ১৩ এপ্রিল পুলিশ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় এবং ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৭ এপ্রিল। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মেডিকেল অ্যাভিডেন্স ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।

গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের শিশু আছিয়া। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে মাগুরা ও ফরিদপুরের হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়, যা দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে।

১৫ মার্চ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে শিশুটির বোনের শ্বশুর ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। শিশুটি ৬ মার্চ বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল এবং সেই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।